ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ চৈত্র ১৪৩১, ২০ মার্চ ২০২৫, ১৯ রমজান ১৪৪৬

ফুটবল

পরিকল্পনা অনুযায়ী খেললে সব সম্ভব: ভারত ম্যাচ প্রসঙ্গে হামজা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৫
পরিকল্পনা অনুযায়ী খেললে সব সম্ভব: ভারত ম্যাচ প্রসঙ্গে হামজা ছবি: সংগৃহীত

এএফসি কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত। আগামী ২৫ মার্চ মুখোমুখি হবে দুই দল।

ভারতের শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচ দিয়ে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা বাংলাদেশি ফুটবলার হামজা চৌধুরী।  

বাংলাদেশ দলে তার অর্ন্তভূক্তি নিয়ে আশার পারদ তুঙ্গে দেশের ফুটবল সমর্থকদের। সেই আশা আরও বাড়িয়ে দিলেন এই মিডফিল্ডার। আজ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ফুটবলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। আমি কোনো চাপে নেই। কোচের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব। ’

বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী ফুটবলার হিসেবে খেলেছেন জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। তারই ধারাবাহিকতায় জাতীয় দলে খেলার অপেক্ষায় হামজা। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেললেও জাতীয় দলের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতায় হামজার চেয়ে এগিয়ে জামালরা। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই শেখার আছে বলে মনে করেন ইংল্যান্ড প্রবাসী এই ফুটবলার।  

তিনি বলেন, ‘আমি খুবই আশাবাদী এবং রোমাঞ্চিত। কোচের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই কথা হচ্ছে আমার। অনেক ভিডিও ফুটেজ দেখেছি। দলের আক্রমনাত্মক মানসিকতায় ও কৌশলে আমি অবাকই হয়েছি। আমার বিশ্বাস আমি দলে নতুন কিছু যোগ করতে পারব। ’

‘আমি হয়তো ভিন্ন ধরনের ফুটবল খেলি। তবে জামালের মতো আরও অনেকেই আছে যাদের আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আপনাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাদের কাছে শেখার আছে আমার। আশা করি আমরা সফল হব। ’

ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলেছেন হামজা। সম্ভাবনা ছিল জাতীয় দলের হয়ে খেলারও। যদি ইংল্যান্ড দলে ডাক পেতেন এবং বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ থাকতো, তবে দুটোর মধ্যে কোনটা বেছে নিতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে হামজা বলেন, ‘আমি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত (বাংলাদেশের হয়ে খেলার) নিয়েছি। ইংল্যান্ডের হয়ে কখনো ডাক পাইনি। ওই সুযোগ তাই আমার আসেনি। সুতরাং সিদ্ধান্তও নিতে হয়নি। তবে সুযোগ আসলে অবশ্যই পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করতাম। বাংলাদেশে খেলতে পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা উৎসাহিত করেছে। আমার কাছে আমার পরিবার সবার আগে। ’

‘কয়েক বছর ধরেই আলোচনা হচ্ছিল। সর্বশেষ নতুন (বাফুফে) প্রেসিডেন্ট তাবিথ আওয়াল আলোচনা শুরু করেন। পরিকল্পনা জানান। কোচের সঙ্গ কথা হয়। আমার মনে হয়েছে, এই দলটা সাফল্য পেতে চায়। আমারও পরিবার নিয়ে এখানে আসতে খুব ভালো লাগে। কোচ ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর আত্মবিশ্বাস পাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৫
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।