চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ড থেকে প্রথমবার ফেরি ‘কপোতাক্ষ’ গেল বঙ্গোপসাগরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সন্দ্বীপে।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে এ রুটে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চালু করা হয়।
বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে যাতায়াতের অন্যতম রুট সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপের ১৮ কিলোমিটার সমুদ্রপথে ফেরি চলাচলের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের।
তিনি দ্রুততার সঙ্গে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ও সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া পাড়ে ঘাট নির্মাণকাজ শুরু করেন। বিগত কয়েক মাস কাজ শেষে সম্প্রতি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপের ঘাট নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন এবং ফেরির যাত্রীদের সরাসরি ঢাকা যাওয়ার জন্য বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালুর প্রক্রিয়া শুরু করেন। একই সঙ্গে এগিয়ে চলে ফেরিঘাটের কাজ।
কয়েকদিন আগে বিআইডব্লিউটিএর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামানসহ একটি দল ঘাট পরিদর্শন করেন। বুধবার সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশ্যে দুপুর ২টার দিকে পরীক্ষামূলকভাবে ফেরি চলাচল শুরু করা হয়।
এ যাত্রায় নেতৃত্ব দেন বিআইডব্লিউটিএ চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান। তিনি ২১ সদস্যের একটি দল নিয়ে বাঁশবাড়িয়া ফেরিঘাট থেকে প্রথমবার ‘কপোতাক্ষ’ নামক ফেরি নিয়ে সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বিআইডব্লিউটিএ এর উপ-পরিচালক (চট্টগ্রাম) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের নির্দেশনায় দ্রুততার সঙ্গে ফেরি সার্ভিস চালুর যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এ লক্ষে ফেরিঘাট নির্মাণকাজ এগিয়ে চলে। সন্দ্বীপ থেকে যাত্রীরা ফেরিতে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ঘাট হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাতায়াত করবেন। ১৯ মার্চ পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আমরা আশা করছি, ২৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল উদ্বোধন করা হবে।
ফেরি ইনচার্জ মাস্টার মো. শামসুল আলম সাইফুল বলেন, ফেরি না থাকায় সন্দ্বীপের মানুষের করুণ চিত্র আমি কাছ থেকেই দেখেছি। সাগরে যখন ভাটা পড়ে ঠিক তখন স্পিডবোট ঘাটের কাছে যেতে পারে না। কাদা মাটি মাড়িয়ে পানিতে নেমে ভিজে আসতে হতো। এই ফেরি চালু হলে তারা কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
এমআর/টিসি