ঢাকা, বুধবার, ১১ চৈত্র ১৪৩১, ২৬ মার্চ ২০২৫, ২৫ রমজান ১৪৪৬

ফুটবল

টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স, ডাচদের হারিয়ে সেমিতে স্পেন

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
টাইব্রেকারে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে সেমিতে ফ্রান্স, ডাচদের হারিয়ে সেমিতে স্পেন

বিশ্বকাপের টাইব্রেকারে হেরে কাপ খোয়াতে হয়েছে ফ্রান্সকে। আর এই টাইব্রেকারেই পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া।

তবে এবার যেন হলো ঠিক তার উল্টো। দুটো দুর্দান্ত সেভে ফরাসিদের নায়ক হলেন গোলরক্ষম মাইক মানুয়ে। দলকে তুললেন সেমিতে। আরেক ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নায়ক হলেন স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন।

গতকাল রাতে ঘরের মাঠে নেশন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে নির্ধারিত সময় শেষে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকে ফ্রান্স। আগের লেগে সমান গোলে এগিয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ২-২ ড্রয়ে তাই ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে কেউ ব্যবধান গড়তে না পারায় টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচ। যেখানে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে নেয় ফরাসিরা।  

একই সময়ে শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে ভালেন্সিয়ায় নির্ধারিত সময়ে ফিরতি লেগে ৩-৩, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৫ ড্র হয়। পরে পেনাল্টি শুটআউটে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৫-৪ গোলের জয় পায় স্পেন। মূল ম্যাচে স্পেনের হয়ে জোড়া গোল করেন মিকেল ওইয়ারসাবাল, একটি করেন লামিনে ইয়ামাল। নেদারল্যান্ডসের হয়ে একবার করে জালের দেখা পান মেমফিস ডিপাই, ইয়ান মাটসেন ও জাভি সিমন্স।

ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে ফ্রান্স। অনেকগুলো সুযোগও তৈরি করে তারা। তবে প্রথমার্ধে বল পাঠাতে পারেনি জালে। বিরতির পর ৫২তম মিনিটে ডেডলক ভাঙেন মাইকেল ওলিসে। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ফ্রিকিকে বলটি জালে পাঠান তিনি। এরপর ফের লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় ফরাসিদের। ৮০তম মিনিটে ওলিসের কাটব‍্যাক পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় জাল খুঁজে নেন দেম্বেলে।

অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ালে সেখানেও চেষ্টা চালায় ফ্রান্স। তবে ক্রোয়েশিয়ার গোলপোস্টে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন লিভাকোভিচ। ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে সেখানে প্রথম তিন শটের দুটিতেই গোল করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। আর ফ্রান্সের হয়ে প্রথম তিন শটের একটি মিস করেন জুল কুন্দে। পরের পাঁচ শটে ক্রোয়েশিয়া মিস করেন একটি। আর ফ্রান্সেরও সমান মিস হয়।  

দিনের আরেক ম্যাচে ভালেন্সিয়াতে অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যায় স্পেন। ওইয়ারসাবাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় তারা। সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন এই ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে আর কোনো গোল হয়নি। বিরতির পর পেনাল্টি পায় ডাচরা। সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান মেমফিস ডিপাই।  

পাল্টা-আক্রমণে উঠে ৬৭তম মিনিটে আবার এগিয়ে যায় স্পেন। উইলিয়ামসের পাস বক্স থেকে শট নেন ওইয়ারসাবাল। গোলরক্ষক সেটি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। ফিরতি বল হেডে জালে পাঠান রেয়াল সোসিয়েদাদের এই ফরোয়ার্ড। ৭৯তম মিনিটে ফের সমতায় ফেরে ডাচরা। অভিষিক্ত মাটসেন বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শটে বল পাঠান জালে।  

অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচের ১০৩তম মিনিটে স্পেনকে লিড এনে দেন ইয়ামাল। মাঝমাঠ থেকে ডিন হাউসেনের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে, ডিফেন্ডার মাটসেনের বাধা এড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন বার্সেলোনার তরুণ উইঙ্গার। ১০৯তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্কোরলাইন ৩-৩ ও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৫ করেন ডাচ ফরোয়ার্ড সিমন্স।

ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ালে ছয় শটের মধ্যে নেদারল্যান্ডসের দুটি মিস হয়। আর স্পেনের একটি মিস হয়। পেদ্রির শেষ শটে উচ্ছ্বাসে ভেসে ওঠে স্প্যানিশরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৫
আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।