কুমিল্লা: বসুন্ধরা শুভসংঘ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখার আয়োজনে ‘জুলাই বিপ্লবে আমার অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক গল্প লিখন প্রতিযোগিতায় প্রথম ১০ জনের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়।
এসময় প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে প্রথম ১০ জনকে সম্মাননা স্বরূপ পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
বিজয়ী ১০ জন হলেন (ক্রমানুসারে)- এনএইচ রনি আহমেদ, সাব্বির হোসেন, শাকিল আহমেদ সবুজ, তামিম মিয়া, জসিম উদ্দিন, আবু বকর সিদ্দিক, আতিকুর রহমান, সবুজ মিয়া, বিএম সুমন এবং ফারহানা কামাল কেথী।
এ নিয়ে অন্যতম বিজয়ী আতিকুর রহমান তনয় বলেন, জুলাই আন্দোলনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি ছিল ১১ জুলাই, ১৮ জুলাই এবং ৩ ও ৫ আগস্ট। আমি জানি না, আসলে পরে এ রকম কোনো সুযোগ পাব কি না। ওই দিনগুলো আসলে আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে থাকবে।
আরেক বিজয়ী বিএম সুমন বলেন, আমরা যারা সরাসরি আন্দোলন করেছি, তারা জানি, ওই মুহূর্তগুলো কতটা অনিরাপদ এবং আতঙ্কময়, বিভীষিকাময় ছিল। এ আন্দোলনটা একটা জীবন্ত ইতিহাস। ধন্যবাদ বসুন্ধরা শুভসংঘকে, এ রকম প্রশংসনীয় একটা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। আশা করি, তারা বিপ্লব পরবর্তী এ কাজগুলো ধরে রাখবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, ধন্যবাদ বসুন্ধরা শুভসংঘকে। গল্পগুলো যখন পড়ছিলাম, প্রতিটি লেখা আমার কাছে অত্যন্ত চমৎকার লাগছিল। তবুও মার্কিংয়ের জন্য আমি কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করেছি। এর মধ্যে প্রধান ছিল, লেখক সরাসরি আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন কিনা। দ্বিতীয় বিষয় ছিল, তারা কীভাবে লেখাগুলো উপস্থাপন করেছে। সব মিলিয়ে লেখাগুলো অসাধারণ ছিল।
বসুন্ধরা শুভসংঘ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি তারিন সুমাইয়া বলেন, জুলাই বিপ্লবে সামনের সারিতে ছিল আমাদের তরুণ সমাজ। পুরোটা সময় জুড়ে রাস্তায় নেমে, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লড়াই করে গেছে। আমরা চেষ্টা করেছি, তরুণদের এ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা, চেষ্টা ও অবশেষে পরিবর্তন নিয়ে আসার গল্পগুলো তুলে আনতে। এ গল্পগুলো নিয়ে দেয়ালিকা করারও পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের। তারুণ্যের শক্তিকে তুলে ধরার প্রচেষ্টাই আমাদের সংগঠনের লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৫
এসআই