ঢাকা, সোমবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি।

ঢাকা: সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির এক দফা দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষকরা।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নন-এমপিও সংগঠনের মোর্চা ‘সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ’র ব্যানারে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

রাত ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায়।

সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি একটি চলমান প্রক্রিয়া। প্রতিবছর এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন নেওয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত চার বছর কোন আবেদন নেওয়া হয়নি। ২০২৫ সালে যদি আবেদন না নেওয়া হয় তাহলে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ, দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারে না। আমরা মনে করি, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সামাজিক মর্যাদা ও সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে এমপিও নীতিমালা ২০২১ এর সব শর্ত বাতিল করে সব নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করে শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দুঃখ দুর্দশার অবসান করা প্রয়োজন।

নন-এমপিও সংগঠনের মোর্চার সাংগঠনিক সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মনিমুল হক বলেন, নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন প্রদান রাষ্ট্রের এক নম্বর অগ্রাধিকার হতে হবে। দেশে আন্দোলনরত যতগুলো পেশাজীবী সংগঠন যত দাবি করছে তার মধ্যে নন-এমপিও (বেতন বিহীন) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন দেয়া সবচেয়ে যৌক্তিক ও মানবিক দাবি। শিক্ষা মৌলিক অধিকার। শিক্ষকের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। শিক্ষায় বিনিয়োগ শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। শিক্ষকদের জীবনমান উন্নত না হলে দেশপ্রেমিক শিক্ষার্থী তথা আদর্শ নাগরিক গঠন করা সম্ভব নয়। আদর্শ নাগরিক ছাড়া দেশের স্বার্বভৌমত্ব বিপন্ন হয়।  

তিনি আরও বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

রাতে অবস্থান কর্মসূচিতে মোর্চার কুষ্টিয়া জেলার সভাপতি মঞ্জুরুল হক বলেন, এর আগে আমরা এমপিওভুক্তির দাবিতে ৫ মাস সচিবালয়ে যোগাযোগ করেছি। ২৫ সেপ্টেম্বর সারা বাংলাদেশ থেকে জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিয়েছি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। তখন আমরা দাবি পূরণে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছি। কিন্তু আমাদের দাবি পূরণ হয়নি। তাই আজকে থেকে আমরা এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছি। হয় দাবি আদায় হবে, নয় আত্মহুতি দেবো। আমাদের জীবনের আর কিছু নেই।

এদিকে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ’ ও ‘বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র ব্যানারে শিক্ষকদের আরও দুইটি পক্ষকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
এসসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।