ঢাকা: লিবিয়া থেকে ইতালিতে লোক পাঠানোর পেছনে যে মাফিয়া দালাল চক্র রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন লিবিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ দাবি জানান।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি রাতে লিবিয়া উপকূল থেকে একটি নৌকা ৫৬ যাত্রী নিয়ে ইতালির উদ্দেশ্য রয়ানা দেয়। খুব সম্ভবত ২৫ তারিখ রাতেই নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরবর্তীতে ২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি উপকূলে লাশ ভেসে আসতে থাকে। ২৮ তারিখ ৭ জন, ২৯ তারিখ ১১ জন, ৩০ তারিখ তিনজন, ৩১ তারিখ তিনজন, মোট ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশগুলো আজদাদিয়ায় সমাহিত করা হয়েছে। কেননা লাশগুলো পচে গিয়েছিল, এগুলো রাখার কোনো উপায় ছিল না। লাশ উদ্ধার ও দাফনের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তারা হলো রেড ক্রিসেন্ট ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের জানিয়েছে, লাশগুলোর অবয়ব দেখে তাদের মনে হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশি নাগরিকের। তবে লাশগুলোর সঙ্গে কোনো ডকুমেন্ট ছিল না।
তিনি বলেন, ৫৬ জনের মধ্যে ২৩ জনকে উদ্ধার শেষে দাফন করা হয়েছে। আর দুজনকে সেনাবাহিনী বা পুলিশের কোনো একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী নিখোঁজদের কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি। আমরা ব্রেগা এলাকায় যাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের অনুমতি চেয়েছি, তবে এখনো অনুমতি পাইনি।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার যে অদম্য স্পৃহা, এটাকে কোনোভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না। রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেড় বছরে ৪ হাজার ২০০ লোককে ডিটেনশন সেন্টার থেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছি। আপনারা মানুষকে সচেতন করেন, যাতে করে কেউ ভূমধ্যসাগর এভাবে পাড়ি না দেয়। এটার পেছনে যে দুষ্টচক্র, যে মাফিয়া দালালরা রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
টিআর/এমজে