ঢাকা, সোমবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বাংলা একাডেমির আদব-কায়দা না থাকলে কী করব?

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
বাংলা একাডেমির আদব-কায়দা না থাকলে কী করব?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পুরস্কৃতদের পেছনে দাঁড় করিয়ে রাখার সমালোচনা করেছেন লেখক ও প্রাবন্ধিক সলিমুল্লাহ খান। তিনি বলেছেন, বাংলা একাডেমি যদি মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করতে না জানে আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব নাকি? তাদের আদব-কায়দা যদি না থাকে আমরা কী করব?’

রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার সংলগ্ন হাকিম চত্বরে জাতীয় কবিতা উৎসবের সমাপনী দিনে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা সাম্য ও সম্প্রীতি : বাংলাদেশের কবিতা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সেমিনারে সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।  

সলিমুল্লাহ খান বলেন, লোকজন বলছে আপনি পুরস্কার নিলেন কেন? আরে.. পুরস্কার নেওয়ার পরেই তো বেইজ্জতিটা করছে।

শনিবার অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে পুরস্কৃতদের পেছনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা, সংস্কৃতি উপদেষ্টা, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক চেয়ারে বসেছিলেন। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা হয়।  

অনুষ্ঠানের ঘটনা সামনে এনে সলিমুল্লাহ খান বলেন, বাংলা একাডেমির পুরষ্কার প্রদানের অনুষ্ঠান নিয়ে অনেকে ট্রল করছে। আমাকে জিজ্ঞেস করছে- ছাত্রদের সামনে বসিয়ে আপনারা পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন? আমি বলেছি তারা ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে বসেছে। বাংলা একাডেমির যদি মানুষকে সম্মান প্রদর্শন করতে না জানে আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব নাকি? তাদের আদব-কায়দা যদি না থাকে আমরা কী করব?

তিনি বলেন, এখানেও দাসত্বের অবসান করতে হবে। দাসত্বের অবসান করতে হলে সবাইকে এক করতে হবে। সকলেই যদি আমরা সমান না হই, তাহলে আমরা এক হবো না।

জাতীয় কবিতা পরিষদ আয়োজিত এই উৎসবে আরও আলোচনা করেন মঞ্জুরুর রহমান, কুদরত-ই খোদা। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সোহরাব হোসেন।

সভা প্রধানের বক্তব্যে আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বাংলা ভাষার সাহিত্য অনেক উন্নতমান সমৃদ্ধ। আমাদের কবিরা যদি বাংলা ভাষায় অসাধারণ কিছু লেখেন যেটা ক্ল্যাসিক্যাল পর্যায়ের, কালজয়ী হয় তাহলে সেটা আমাদের ভাষার জন্য-জাতির জন্য সমৃদ্ধির হবে, অসাধারণ কৃতিত্বের হবে। রবীন্দ্রনাথও এই ভাষায় কবি হয়েছেন। মাইকেল মধুসূদনও এই ভাষায় কবি হয়েছেন।

তিনি বলেন, কবিরা এমন বিষয় লক্ষ্য করেন, তাদের এমন অভিজ্ঞতা হয় যেটা মূল্যবান যেটা চারপাশে অন্যরা অনুভব করেন না। কবিদের দেখার দৃষ্টি তেমনি ভিন্ন হয়। কবিরা তাদের সেই অভিজ্ঞতা, আবেগ, অনুভূতিকে অন্যের সঙ্গে ছড়িয়ে দিতে চান। এভাবে ভাষার মাধ্যমে যেটি প্রকাশ করেন সেটাই কবিতা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
এফএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।