ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘লাল গালিচা’ বিছানোর ব্যাখ্যা দিল ডিএনসিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
‘লাল গালিচা’ বিছানোর ব্যাখ্যা দিল ডিএনসিসি

ঢাকা: খাল খনন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘লাল গালিচা’র ব্যবস্থা রাখার ব্যাখ্যা দিল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সংস্থাটি বলছে, অতিথিদের নিরাপত্তার জন্য এটি রাখা হয়েছিল।

রোববার (০২ জানুয়ারি) ঢাকার মিরপুরে খাল খনন উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। এদিন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লাল গালিচা নিয়ে ব্যাখ্যা দেন।

ডিএনসিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকালে মিরপুরে বাউনিয়া খালের প্রান্তে সংস্কার (খনন) কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত তিন উপদেষ্টাসহ অতিথিরা বক্তব্য দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কার কাজ উদ্বোধনের জন্য ভাসমান এক্সকাভেটরে ওঠেন।

উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়, ভাসমান এক্সকাভেটরে যেতে লাল কার্পেট বিছানোর কারণ কী? এ প্রসঙ্গে ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, যেখানে ভাসমান এক্সকাভেটর রাখা ছিল, তা কোনো স্থায়ী পন্টুন নয়, বরং অস্থায়ী পন্টুনে রাখা ছিল।

এ ছাড়া এক্সকাভেটরে ওঠার রাস্তাটি অনেক ঢালু ছিল। তাতে কাদামাটি এবং এক্সকাভেটরের মেঝে পিচ্ছিল থাকায় অতিথিদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য এবং চলাচল এলাকা দৃষ্টিগ্রাহ্য করতে একটি লাল রঙের কার্পেট সদৃশ ম্যাট ব্যবহার করা হয়।

ডিএনসিসি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লক্ষ্য করেছে যে গণমাধ্যমে এসেছে, ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা লাল গালিচায় হেঁটে খালে নামেন এবং ভাসমান এক্সকাভেটরে ওঠে কাজের সূচনা করেন। ’ 

সংস্থাটি বলছে, এটি কোনো আনুষ্ঠানিক লাল গালিচা নয়, বরং শুধুমাত্র নিরাপত্তার স্বার্থে রাখা একটি ব্যবস্থা। এতে কোনো ধরনের অপব্যয় বা অতিরিক্ত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য ছিল না। যেহেতু ভাসমান এক্সকাভেটরে ওঠা-নামার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ, তাই ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সবসময় স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও জনস্বার্থের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান; শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
এমএমআই/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।