ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাজারের হুজুর সেজে নারীর গহনা-নগদ টাকা নিয়ে চম্পট 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
মাজারের হুজুর সেজে নারীর গহনা-নগদ টাকা নিয়ে চম্পট 

ঢাকা: রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় এক নারীর কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা মূল্যের  স্বর্ণালংকারসহ দশ হাজার নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে একদল প্রতারক।   

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে রাজধানীর মিরপুর-১৪ পুলিশ কনভেনশন হলের সামনে রাস্তা এই ঘটনা ঘটে।

ওদিন দুপুরে ভুক্তভোগী সুরভী সুলতানা (৪৭) কাফরুল থানায় অভিযোগ করেন।  

সুরভী সুলতানা তার অভিযোগে বলেন, আমি কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১৩ মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়া প্রতিদিন সকালে হাঁটাহাটি করি। প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১৩ মন্দিরের সামনের রাস্তা দিয়া হাঁটাহাটি করার সময় কাফরুল থানাধীন মিরপুর-১৪ পুলিশ কনভেনশন হলের সামনে রাস্তার উপর আসলে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি আমার আসে। সে (ওই ব্যক্তি) বলে সিলেটের মাজারের হুজুর আমার সাথে কথা বলবে। তখন আমি ওই অজ্ঞাতনামা হুজুরের সামনে গেলে হুজুর আমার সমস্যার কথা জিজ্ঞাসা করেন। কথাবার্তা বলার সময় অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন হুজুরের সামনে আসে। তাদের রোগবালাই ও ব্যবসায় উন্নতি হয়েছে বলে হুজুরের কাছে দোয়া চায় ও হুজুরকে টাকা দিতে চাইলে হুজুর টাকা না নেওয়ায় আমার হুজুরকে বিশ্বাস হয়। তখন আমি আমার পারিবারিক কিছু সমস্যার কথা বলি। তখন অজ্ঞাতনামা আরো এক জন বোরখা পরিহিত মহিলা ওই স্থানে আসে। হুজুরের সাথে কথাবার্তা বলে, পরে ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়ে তার স্বামীর ব্যবসায় উন্নতি করার জন্য দোয়া চায়। হুজুর ওই মহিলাকে ১০ কদম সামনে যাইতে বলে। পরে সে হজুরের কথামত ১০ কদম সামনে গিয়া একটি পাথর পায়। ওই পাথর আমাকে দেখালে আমি আরো বেশি বিশ্বাস করতে শুরু করি। সে সময় হুজুর আমার বাসায় কি পরিমাণ টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার আছে, যা আছে সব নিয়া আসতে বলে।  

ভুক্তভোগী জানান, আমি হুজুরের কথামত বাসা থেকে ১০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের গলার হার, দুইটি স্বর্ণের চেইন, একটি স্বর্ণের টিকলি, এক জোড়া স্বর্ণের বালা ও এক জোড়া স্বর্ণের ঝুমকা, নিয়ে আসি। গহনাগুলোর মোট ওজন আনুমানিক ১০ ভরি, মূল্য প্রায় ১১ লাখা টাকা। পরে সেই হুজুরের হাতে দিলে, হুজুর আমাকেও ওই মহিলার মতন ১০ কদম সামনে যাইতে বলে। আমি হুজুরের কথামত ১০ কদম সামনে যাওয়ার পরে কোনো পাথর পাই না। পরে পিছনে ফিরে দেখিতে পাই, ওই হুজুর ও অন্য লোকগুলো সেখানে নেই। তখন আমি বুঝিতে পারি, আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। ওই অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জন সকলেই প্রতারক চক্রের সদস্য।  

এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান সুরভী সুলতানা।  

এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইম মো. সাব্বির বাংলানিউজকে বলেন, তদন্তের গোপনীয়তার স্বার্থে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী ঘটনাটি তদন্ত করছি।


বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
এমএমআই/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।