ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, লাশ নয় টুকরো করে ফেলা হয় সেপটিক ট্যাংকে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৪
স্বামীকে হত্যার অভিযোগ, লাশ নয় টুকরো করে ফেলা হয় সেপটিক ট্যাংকে  পলিথিনে ভরা মরদেহের খণ্ডিত অংশ, ইনসেটে অরুণ মিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী অরুণ মিয়াকে (৭০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগ ওঠে বৃদ্ধ স্বামীকে হত্যার পর মরদেহ নয় টুকরা করে পলিথিনে পেঁচিয়ে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন স্ত্রী মোমেনা বেগম।

পরে স্বামী নিখোঁজ হয়েছেন বলে প্রচারণা চালাতে থাকেন।  

গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ ছিলেন অরুণ মিয়া। হত্যার চারদিন পর মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ফরদাবাদ গ্রাম থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকী আক্তারকে আটক করেছে পুলিশ।  

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে প্রথম স্ত্রীর ছেলে লুৎফর রহমান রুবেল বাদী হয়ে সৎ মা মোমেনা বেগম ও সৎ বোন লাকি আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন কুমার পাল জানান, পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম স্বামী অরুণ মিয়াকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। মোমেনা লাশ নয় টুকরো করে নয়টি পলিথিনে বেঁধে পার্শ্ববর্তী সৌদি প্রবাসী মনির মিয়ার সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। মঙ্গলবার রাতে ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে দুর্গন্ধ বের হলে এলাকাবাসী সেখানে পলিথিনগুলো দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে একে একে নয়টি পলিথিন ইট মোড়ানো অবস্থায় উদ্ধার করলে অরুণ মিয়ার ছেলে মরদেহ তার বাবার বলে শনাক্ত করেন।

এ ঘটনায় অরুণ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী মোমেনা বেগম ও মেয়ে লাকিকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।