ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিজিডির আয়োজনে ‘ফেনীর বন্যা: পুনর্বাসন ও করণীয়’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
সিজিডির আয়োজনে ‘ফেনীর বন্যা: পুনর্বাসন ও করণীয়’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপ

ফেনী: ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা, বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, চিকিৎসা, নগদ অর্থসহ অন্যান্য সহযোগিতা এবং টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সিভিল সোসাইটি ও থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিজিডি) আয়োজিত ‘ফেনীর বন্যা: পুনর্বাসন ও করণীয়’ শীর্ষক নাগরিক সংলাপে এসব তুলেন বক্তারা।

সিজিডির নির্বাহী পরিচালক সাইদুল ইসলামের পরিচালনায় আয়োজিত নাগরিক সংলাপ ও মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সিজিডির চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ জি এম নিয়াজ উদ্দিন।

সভায় ফেনীর পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন কাজের ক্ষেত্রে যেকোনো চাঁদাবাজি ও অনিয়মের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এনজিওসহ পুনর্বাসন কাজে নিয়োজিতদের পাশে থাকবে। বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, পুনর্বাসন কাজে নিয়োজিত ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তাকে পুলিশ সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি দেবে।

দৈনিক ফেনীর সময়ের সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারিভাবে করা ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে যথেষ্ট গরমিল আছে, এ হিসেবের স্বচ্ছতা জরুরি। আগামী বর্ষার আগে আগে মহুরী-কহুয়া নদীর বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।

দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, ক্লাস্টার ভিত্তিক এনজিও সমন্বয় করে পুনর্বাসন করতে হবে, না হয় একই কাজ অনেকেই করবে আর কিছু কাজ কেউ করবে না।

জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আনম আবদুর রহীম বলেন, পুনর্বাসনের পাশাপাশি বাঁধ নির্মাণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা দরকার, কারণ পুনর্বাসন করতে করতে আবার বন্যা চলে আসতে পারে। কৃষি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে লোন দিতে হবে।

শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে ফেনী কলেজের শিক্ষক মীর হোসেন মজুমদার নাহিদ বলেন, পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে সব দপ্তরের লোকের সমন্বয়ে কাজগুলো করতে হবে, তাহলে লোকবল সংকটও থাকবে না এবং কাজগুলোও যথাযথ হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনী জেলার সমন্বয়ক আবদুল আজিজ বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বইসহ সব শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা প্রয়োজন।

এনজিও প্রতিনিধি ইসলামিক এইড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আবু তাহের নাসির বলেন, পুনর্বাসনের জন্য সরকারি পর্যায়ে আরও ভালোভাবে সমন্বয় করতে হবে এবং শক্ত মনিটরিং ও দরকার।

স্বেচ্ছাসেবক প্রতিনিধি ওসমান গণি রাসেল বলেন, বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে ব্যবসায়ীদের সবার আগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নাগরিক সংলাপে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক আবদুর রহিম, আমিরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির, ফয়সাল প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা দ্রুত টেকসই বাঁধ নির্মাণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনসহ অন্যান্য সহযোগিতা কার্যক্রম জোরদার করার দাবি জানান। এতে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
এসএইচডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।