ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাতিরঝিলে নেই দর্শনার্থীর ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৪
হাতিরঝিলে নেই দর্শনার্থীর ভিড়

ঢাকা: রাজধানীর অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হাতিরঝিল। ছুটির দিনগুলোতে সবুজের সমারোহে কিছুটা সময় কাটাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে এখানে ছুটে আসেন অনেকে।

বিশেষ করে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় এ ঝিলপাড়ে। কিন্তু এবার কোরবানির ঈদে এ চিত্র ছিল পুরোই উল্টো। অনেক দর্শনার্থী হাতিরঝিলে ঘুরতে এলেও ছিল না বাড়তি চাপ।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতিরঝিল ঘুরে দেখা যায়, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব বা প্রিয়তমাকে নিয়ে অনেকে এ বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরতে এসেছেন। কেউ কেউ আবার এসেছেন একা। রাজধানীর বাইরের থেকেও অনেকে এখানে ঘুরতে এসেছেন। তবে গত রোজার ঈদের তুলনায় এবার দর্শনার্থীর সংখ্যা অর্ধেকেরও কম দেখা গেছে।

বিশেষ দিনগুলোতে ভ্রাম্যমাণ অনেক বিক্রেতা হাতিরঝিলে বেলুন, আইসক্রিম, হাওয়াই মিঠাই, চানাচুর, ঝালমুড়িসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। তারাও বলছেন, এবার হাতিরঝিলে মানুষ অনেক কম এসেছে। ফলে তারা যেমন বিক্রির প্রত্যাশা করেছিলেন, সেটি হচ্ছে না।

কারণ হিসেবে তারা বলছেন, আগের মতো হাতিরঝিলের জনপ্রিয়তা নেই। এছাড়া কোরবানির ঈদে মাংস কাটাকাটি, রান্নার কারণে মানুষ ঘর থেকে কম বের হয়। সন্ধ্যার পর বা ঈদের পরদিন দর্শনার্থী বাড়তে পারে বলে আশা এসব ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের।

হাতিরঝিলের মহানগর প্রজেক্ট অংশে আইসক্রিম নিয়ে বসে ছিলেন আপন। তিনি বলেন, সব সময়ই এখানে আইসক্রিম বিক্রি করি। ঈদের সময় অনেক মানুষ আসে। বিক্রিও বেশি হয়। কিন্তু এবার একেবারেই মানুষ নেই। গত শুক্রবারও এর থেকে বেশি মানুষ ছিল। আশা করি মঙ্গলবার (১৮ জুন) মানুষ বাড়বে।

হাতিরঝিলের রামপুরা অংশে ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসে ছিলেন কৈলাস হালদার। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরের পর বসছি, এখন ৫টা বাজে। সব মিলিয়ে ৯০ টাকাও আয় হয়নি। অথচ গত কোরবানির ঈদে এ সময়ের মধ্যে ৫০০ টাকার বেশি আয় হয়েছিল।

প্রতিবার ঈদের সময় হাতিরঝিলের নৌকায় চড়ার জেটি ঘাটগুলোতে দর্শনার্থীদের দীর্ঘ লাইন থাকে। নৌকায় চড়তে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এবার সেখানেও কোনো ভিড় দেখা যায়নি।

তবে এর ভেতরেও অনেকে দূর দূরান্ত থেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন। তেমনি একজন রিংকু। স্বামী সন্তানকে নিয়ে গাজীপুর থেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এবার ঈদে বাড়ি যাইনি। তাই হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছি। মূলত মেয়ে নৌকায় চড়তে চেয়েছে, তাই এখানে আসা।

বাড্ডা থেকে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী এম এ মোমেন। সঙ্গে তার ছোট মেয়ে। তিনি বলেন, ঈদের দিন মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। এখানে এসে মেয়ে খুব খুশি। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার মানুষ কম। তাই ঘুরেও মজা পাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২৪
এসসি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।