ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মধুখালীতে ২ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, সেই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
মধুখালীতে ২ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, সেই ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ফরিদপুর: ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লীতে মন্দির আগুন দেওয়ার অভিযোগে দুই নির্মাণ শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আলোচিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউপি-১ শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব একেএম আনিছুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এতথ্য জানা গেছে।

 

একই সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনকে চূড়ান্তভাবে কেন অপসারণ করা হবে না মর্মে ১০ কর্মদিবস সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামে গত ১৮ এপ্রিল দুইজন নির্মাণ শ্রমিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(৪)(খ)(ঘ) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক ফরিদপুর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। যেহেতু ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলাধীন ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগে। ফলে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করেন। সেহেতু উল্লিখিত ধারার অপরাধ সংগঠিত করায় তাকে নিজ পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

একই দিন সহকারী সচিব স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে বলা হয়েছে, ‘একই অভিযোগে চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানকে তার পদ থেকে চূড়ান্তভাবে কেন অপসারণ করা হবে তা পত্র প্রাপ্তির ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে জেলা প্রশাসক ফরিদপুরের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হলো’।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ এপ্রিল মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী সার্বজনীন কালি মন্দিরের প্রতিমার শাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ওই মন্দির সংলগ্ন পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক নির্মাণে আসা নির্মাণ শ্রমিকদের সন্দেহ করে। পরে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে চার নির্মাণ শ্রমিককে আটকে মারধর করা হয়। এঘটনার রাতেই হাসপাতালে দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নির্মাণ শ্রমিকদের আটকে মারধর করার তিনটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে শ্রমিকদের মারধরে ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানকে অংশ নিতে দেখা যায়।

এদিকে, ২০২৩ সালে ডুমাইন ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামানকে ইউএনওর ওপর হামলা ও টিসিবির কার্ড চুরির অপরাধে দুই দফা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তবে উচ্চতর আদালতের সিদ্ধান্তে দুইবারই তিনি তার পদ ফিরে পান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।