ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদযাত্রায় নদীতে চাপ কম, সড়কে বেশি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২৪
ঈদযাত্রায় নদীতে চাপ কম, সড়কে বেশি

বরিশাল: ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-বরিশাল রুটে বাসের আগাম টিকিট বিক্রি প্রায় শেষ। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সড়কপথে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।

এর কারণ কম সময়ে যাতায়াত।

অন্যদিকে এক সময়ের ভরসাস্থল নদীপথের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোর আগাম টিকিট বিক্রি হচ্ছে ঢিমেতালে। তবে কালোবাজারির হাতে কিছু লঞ্চের টিকিট চলে যাওয়ার অভিযোগও যাত্রীরা জানিয়েছেন।

যাত্রীরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর লঞ্চের টিকিটের তেমন চাহিদা নেই। তবে রোটেশনের কারণে ট্রিপে লঞ্চ কম থাকায় ছুটির দিনগুলোর আগে যাত্রীচাপ থাকে ঢাকা-বরিশাল রুটে। তখন কালোবাজার ছাড়া টিকিট পাওয়া দায়।

এ অবস্থায় কালোবাজারি রোধসহ সড়ক ও নৌপথে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে ও নৌ পুলিশ।

ঈদ সামনে রেখে ১৫ রোজা থেকে আগাম টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেয় লঞ্চগুলো। টিকিট বিক্রির এক সপ্তাহ পার হতে চললেও কাঙ্ক্ষিত যাত্রীদের দেখা নেই টিকিট কাউন্টারে। অথচ পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও পাওয়া যেত না টিকিট।

লঞ্চের স্টাফরা জানান, ৬ এপ্রিল থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে ৩৮টি নিয়মিতসহ ঈদের বিশেষ লঞ্চ চলাচল করবে। তবে এখনো আশানুরূপ টিকিট বিক্রি হচ্ছে না, ভবিষ্যতে হবে কি না তাও জানা নেই।

সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার স্টাফ শাকিল জানান, গত বছর যে রকম চাপ ছিল, এবার তেমনটা নেই। টিকিট বিক্রি অনেকটাই কম হচ্ছে এবার।

তবে ভিন্ন চিত্র সড়কপথে। ঈদ সামনে রেখে ঢাকা থেকে বরিশাল আসার অগ্রিম টিকিট বিক্রি এরইমধ্যে শেষ করেছে পরিবহনগুলো। এমনকি ফিরতি টিকিটও প্রায় শেষের পথে। যাত্রীচাপ সামলাতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কম সময়ে আসা-যাওয়ার সুবিধায় সড়কে যাত্রীচাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।

দূরপাল্লার পরিবহনের ম্যানেজার বাদশা জানান, ঈদের লম্বা ছুটির কারণে এবারে যাত্রীর চাপ বেশি। এ অবস্থায় নিজ নিজ উদ্যোগে কোম্পানিগুলো চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা চালাবে।

এদিকে বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য কোস্টগার্ড, থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএর সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করবেন। বন্দরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

নৌপথের পাশাপাশি সড়কেও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির জানান, নগরের নথুল্লাবাদ ও রুপাতলী বাস টার্মিনাল এবং নদীবন্দরে তিনটি অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এ ছাড়া নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। আশা করি, মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করে আবার কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবার ঈদের ছুটি ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। আছে শবে কদর, পয়লা বৈশাখের ছুটি। দীর্ঘ ছুটি থাকায় এবার ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেশি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২৪
এমএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।