দিনাজপুর: দিনাজপুরের বিরল সীমান্ত থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া আল-আমিনকে (২৫) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একই সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিক কর্তৃক আটক হওয়া ভারতীয় কৃষক নারায়ণ চন্দ্র রায়কেও (৪২) ছেড়ে দিয়েছে বিজিবি।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার ৮ নম্বর ধর্মপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর দ্বীপনগর গ্রামের সীমান্তের শূন্য রেখার মেইন পিলার ৩২৩ নম্বরের সাব পিলার ১এস এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে এদিন সকাল ১০টার দিকে ওই সীমান্ত থেকে আল-আমিনকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
আল-আমিন বিরল উপজেলার এনায়েতপুর দ্বীপনগর গ্রামে আইজ উদ্দিনের ছেলে।
নারায়ণ চন্দ্র রায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুসুমন্ডি থানার পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবি-৪২ দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান-উল ইসলাম ও বিএসএফের অধিনায়ক বিপেন কুমার নেতৃত্ব দেন।
স্থানীয়রা জানান, সকালে বিরল উপজেলার এনায়েতপুর দ্বীপনগর গ্রামে সীমান্তের শূন্য রেখার ৩২৩ নম্বর পিলারের পাশে নিজ জমিতে কাজ করছিলেন আল-আমিন। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের লোকজন বিজিবি সদস্যদের কাছে গিয়ে বিষয়টি জানান এবং প্রতিবাদে নারায়ণ চন্দ্র রায় নামে ভারতীয় এক কৃষককে ধরে এনে বিজিবি সদস্যদের হাতে তুলে দেন বাংলাদেশি কয়েকজন নাগরিক।
বিজিবি-৪২ দিনাজপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসান-উল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার সকালে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন কয়েকজন। সে সময় বিরল সীমান্তের খুব কাছাকাছি নিজ জমি কাজ করা অবস্থায় থাকা আল-আমিনকে সন্দেহ করে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে বিষয়টি জানতে পেরে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত আনা হয়। এছাড়া আল-আমিনকে ধরার সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছিলেন বিএসএফ সদস্যরা। পতাকা বৈঠকে এ ব্যাপারেও বিজিবির পক্ষ থেকে তাদের কড়াভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
এসআরএস