ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নৌকাবাইচের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: শাহরিয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
নৌকাবাইচের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: শাহরিয়ার

রাজশাহী: নৌকাবাইচের ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, এই নৌকা ৭১-এর নৌকা। এই নৌকা স্বাধীনতার নৌকা।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।

প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজশাহীর বাঘায় নকআউট পদ্ধতিতে তিন দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। নৌকাবাইচ উপলক্ষে এখানে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে গ্রামীণ মেলা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতাসহ নানান আয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ এত সুন্দর হবে, তা আগে জানলে নিজেই একটি টিম গঠন করতাম। নৌকাবাইচের আয়োজক কমিটির নেতাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।

নৌকাবাইচ উপলক্ষে এই অঞ্চলের হাজার-হাজার মানুষের উল্লাস ও উৎসবের আমেজ সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে বলে জানান তিনি। শাহরিয়ার আলম বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। এ দেশের লাখ লাখ মানুষ নদ-নদীতে মাছ শিকার করে তাদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে। নৌকাবাইচ তাদের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম।

কৃষিখাতে এখন দেশ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও এ সময় উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (১৪ অক্টবর) বিকেলে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রবির সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুর ইসলাম বাবুল ও গড়গড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ আনিছুজ্জামানসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, নকআউট পদ্ধতিতে তিন দিনব্যাপী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় বাছাইপূর্বক চূড়ান্ত পর্বে পাঁচটি বড় নৌকা অংশগ্রহণ করে। এতে প্রথম স্থান অধিকার করে টুঙ্গিপাড়ার সোনার তরী-৭১ নৌকা। এটির পরিচালক ছিলেন চাঁদপুর গ্রামের শাহালম। তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সম্মাননা পুরস্কার হিসেবে একটি হোন্ডা কম্পানির ১৬০ সিসি মোটরসাইকেল।

দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে খুলনা থেকে আগত মযূরপঙ্খী নৌকা। এটির পরিচালক ছিলেন গড়গড়ি ইউনিয়নের হুমায়ন কবির। তিনি পেয়েছেন ১১০ সিসির মোটরসাইকেল। এছাড়া তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন খুলনা থেকে আসা সোনালি সংঘ নৌকা। এটির পরিচালক ছিলেন বামনডাঙ্গা গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক বুদু মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২৩
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।