ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুরে সালিশি বৈঠকে মারামারি, গ্রেপ্তার ৩

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
চাঁদপুরে সালিশি বৈঠকে মারামারি, গ্রেপ্তার ৩

চাঁদপুর: চাঁদপুর শহরের কয়লা ঘাট এলাকায় সালিশি বৈঠকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও মারধরের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারদের চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

এর আগে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন হামলার শিকার তাফাজ্জাল হোসেন বকাউল। মামলা হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর সদর থানা পুলিশ।

আহতরা হলেন- শহরের কয়লা ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী মো. নাছির মিয়া (৫২), সোহেল বকাউল (৩০), মিস্ত্রি কালু (৩২), আনোয়ার হোসেন (৪০), সাগর (২৬), তাফাজ্জল বকাউল (৪১)। এছাড়া বাকি আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে নাছির মিয়া, সোহেল বকাউল, মিস্ত্রি কালু, আনোয়ার হোসেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী এলাকার স্পিডবোট মালিক জনির কর্মচারী ও ট্রান্সপোর্ট মালিক শাওনের সঙ্গে ট্রলারের বিষয়ে সদরের বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর সিমেন্ট ঘাটে কথা-কাটাকাটি হয়। এই বিষয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে কয়লাঘাট তেলের দোকানদার জাহাঙ্গীর চোকদারের দোকানে সালিশি বৈঠক হয়। সালিশি বৈঠক চলাকালীন স্বপন মাঝি, রিপণ মাঝি, মানিক মাঝি, তকদির মাঝি, শাহিন মাঝি, তানজিল হোসেন, মানিক মাল, লিটন মাল, আরিফ, বিপ্লবসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মামলার বাদী তাফাজ্জল বকাউলের ওপর অতর্কিত হামলা করে।  

পরে তাদের লোকজনের দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, লোহার রড ও ইটের আঘাতে প্রায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে রিপণ মাঝি, শাহিন মাঝি ও তানজিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম আহতদের খোঁজ খবর নিতে হাসপাতালে যান এবং ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ আইনি সহায়তার আশ্বাস দেন।

আহত মো. নাছির মিয়া জানান, আমার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পাশের দোকানে সালিশ বৈঠক হয়। এ সময় কে বা কারা ঢিল মারছে তা দেখতে এগিয়ে যাই আমি। তাদের পাথরের আঘাতে আমার ডান চোখের নিচে ফেটে গেছে ও সেলাই লেগেছে। এছাড়া তাদের অস্ত্রের আঘাতে মাথা ফেটে যায়। আমি নিরপরাধ। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।