ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ভোক্তারা সহনশীল হলে লুটপাট অব্যাহত থাকবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
‘ভোক্তারা সহনশীল হলে লুটপাট অব্যাহত থাকবে’

ঢাকা: ভোক্তারা যতদিন সহনশীল থাকবে, ততদিন ব্যবসায়ীদের লুটপাট অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান।

তিনি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা আগে যেখানে এক টাকা লাভে সন্তুষ্ট হতো, এখন আর হচ্ছে না।

এই লোভস্ফীতি বা অতিমুনাফা মূল্যবৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা ভোক্তারাও খুব সহনশীল। আমরা শুধু ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করি। আমরা প্রতিবাদও করি না। আমরা বড় সহনশীল। এই সহনশীলতা যতদিন থাকবে, ততদিন ব্যবসায়ীদের লুটপাট অব্যাহত থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ‘কেবল বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ সম্ভব নয়’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গোলাম রহমান।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) যৌথভাবে এই ছায়া সংসদের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

ক্যাবের সভাপতি বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আমাদের সবার জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ কীভাবে যে জীবন ধারণ করছে, সেটা কল্পনা করা যাচ্ছে না। তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চয় তলানিতে পড়েছে বা শেষ হয়ে গেছে, ধারকর্য করছে। মানুষ কষ্টে আছে। সরকারের এই দিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

শুধু বাজার মনিটরিং দিয়ে মূল্যস্ফীতির স্থায়ী সমাধান হবে না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, মনিটরিং বাজারে আগুন নেভানোর কাজ করতে পারে। কিন্তু বাজারে আগুন লাগবে না, এই নিশ্চয়তা বাজারে অভিযান চালিয়ে দেওয়া কঠিন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিম, ডাবের ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচ বিশ্লেষণ করে কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যান্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠিক করে দিচ্ছে। কিন্তু এটা বড় ব্যবসায়ীরা সব সময় মেনে চলছে না। যার ফলে দীর্ঘস্থায়ী সুফল আসছে না। তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে শক্তিশালী করতে হবে, বাজারে মনিটরিং বাড়াতে হবে, যাতে দাবানলের সৃষ্টি না হয়।

গোলাম রহমান আরো বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ সংশোধন ও সংস্কারের প্রয়োজন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে আইনটি আমাদের দেশে ছিল না। এই আইনটির প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে অনুভূত হয়, যখন গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে বাংলাদেশ মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা খুব জোরেসোরে শুরু করে। এই আইনটি করার উদ্যোগ গ্রহণের পেছনে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছে ক্যাব।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে বাজার মনিটরিং নিয়ে আয়োজিত এই ছাড়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও বিরোধী দল হিসেবে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা ছিলেন। প্রতিযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ জয় লাভ করে।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন সাংবাদিক মাঈনুল আলম, আবুল কাশেম, কাবেরী মৈত্রেয় ও শাহ আলম খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২৩
এসসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।