ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় মোখা: সাতক্ষীরায় ৮৮৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সাতক্ষীরায় ৮৮৭ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা না থাকলেও ঘূর্ণিঝড় মোখার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ও জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

এজন্য ইতোমধ্যে জেলার ৮৮৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।

এর মধ্যে ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৭১৮ স্কুল-কলেজকে বিকল্প আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের ধারণা ক্ষমতা রয়েছে।

এছাড়া ৪১৬ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা ও ৫ হাজার সিপিপি (ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি) সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

সেই সঙ্গে সাতক্ষীরা উপকূলের আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জে বেড়িবাধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে সংস্কারসহ পর্যাপ্ত জিও বালুর বস্তা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসহ নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলো জরুরি সভা করেছে।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঝড়ের আগেই সংকেত অনুযায়ী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম প্রস্তুতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও খাওয়ার পানি মজুদ রাখা, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শ্যামনগর উপজেলায় ২ হাজার ৯৮০ জন এবং আশাশুনি উপজেলায় ১ হাজার ২০ জন সিপিপি সদস্য এবং রেডক্রিসেন্ট ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগে প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, শিশু ও গর্ভবতী নারীসহ ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর এবং শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে উদ্ধারকারী নৌযান হিসেবে স্পিডবোট, প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইঞ্জিনচালিত নৌকা/ট্রলার এবং স্থলযান প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া সব উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দলের সদস্যদের ঝড়ের পরে রাস্তায় গাছ পড়লে তা অপসারণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও কর্মী বাহিনীসহ প্রস্তুত রাখতে হবে বলা হয়েছে। এছাড়া কলারোয়া, তালা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা হতে যন্ত্রপাতিসহ প্রয়োজনীয় জনবল শ্যামনগর উপজেলায় সাময়িকভাবে মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।