ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
‘ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে’

শরীয়তপুর: পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে ধারণ করে ইসলামের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেমন বাংলাদেশের মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিকে জাগরিত করতে ইসলামী ফাউন্ডেশনের গোড়াপত্তন করেছিলেন, তেমনি তার সুযোগ্য কন্যাও আধুনিক ইসলামের বিস্তার ঘটাতে কাজ করে চলেছেন।

তিনি কাওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়ে এরই মধ্যে নজির সৃষ্টি করেছেন।  

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাই কেবলমাত্র বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সরকারিভাবে আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৫৭৬টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছেন। যা এ দেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা। ইসলামের কৃষ্টিকালচারকে এগিয়ে নিতে তিনি মসজিদের সঙ্গে সংযোজন করেছেন আধুনিক ইসলামী পাঠাগার, ইসলামী কালচারাল সেন্টার ও বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালনের জন্য সম্মেলন কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। শেখ হাসিনা একজন সাচ্চা ইসলামের খাদেম।

শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি)শরীয়তপুরের সখিপুরের আনন্দবাজার পূর্ব মালত কান্দি এলাকায় সমজিদে ইউসুফ ইবনে ঈসা আদ্—দুহালাইনের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগের সরকারদের ন্যায় ধর্মের নামে কোনো কুসংষ্কারকে ধারণও করেন না পাত্তাও দেন না, প্রকৃত ধর্মানুসারীদের যথাযোগ্য মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছেন। আমাদেরকেও ইসলামের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে নির্দেশনা দেন। শেখ হাসিনার মতো ধর্মপ্রাণ রাষ্ট্র প্রধান থাকলে সে দেশে কোনো অধর্মের কাজ করা অসম্ভব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহালাইন বলেন, আমি এখানে রাষ্ট্রের একজন দায়িত্বশীল হিসেবে নয়, এনামুল হক শামীমের একজন মুসলমান ভাই সিসেবে এসেছি। এখানকার মানুষের আন্তরিকতা ও সম্মানে আমি অভিভূত। এই প্রত্যন্তাঞ্চলে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের আতিথেয়তায় আমি সিক্ত। সৌদি আরব সরকার সব সময়ই বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে পাশে ছিল, আছে আগামীতেও থাকবে ইনশাল্লাহ।

আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের অর্থায়নে নির্মিত মসজিদের উদ্বোধনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে বিশেষ অতিথি ছিলেন,সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দোহালাইন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সংসদ সদস্য ও  আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান, প্রফেসর ডক্টর আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামউদ্দিন, বেগম আশরাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবুল হাসান পাইক, ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির মোল্লা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

মসজিদ উদ্বোধন শেষে সৌদি রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের জন্য বাংলা অনুবাদসহ  ৬০ খানা কুরআন শরীফ উপহার দেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।