ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গাইবান্ধা ৫ আসনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৩
গাইবান্ধা ৫ আসনে ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা

গাইবান্ধা: সংসদের গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা।

বুধবার (০৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে একটানা ভোটগ্রহণ করা হয়। এ সময় কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এই নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপার) প্রার্থী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম গোলাম শহিদ রঞ্জু (লাঙ্গল), বিকল্পধারা বাংলাদেশর প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (ট্রাক)।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। যা পর্যবেক্ষণের জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং সেল গঠন করে নির্বাচন কমিশন।

তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষ করার জন্য বিজিবি, র‌্যাবের মোবাইল টিম, পুলিশের মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

গাইবান্ধা-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেই আসনটিতে ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে প্রথমে গোপন কক্ষে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করায় ভরতখালি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, ফুলছড়ি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র এবং সাঘাটা উপজেলার রামনগর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে দফায় দফায় ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করে ইসি।

অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৫১টি ভোটকেন্দ্রের ঘটনা তদন্ত করে গত ২৭ অক্টোবর ইসিকে প্রতিবেদন দেয়। পরে বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ছিল কিনা, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় ইসি। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দেয়।

তদন্তে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই), ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তার বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

তদন্ত শেষে গত ৬ নভেম্বর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে তারিখ ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।