ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শ্রেণি শিক্ষার্থীর পরীক্ষার নম্বর নিয়ে ছলচাতুরী, অভিভাবকের অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২৩
শ্রেণি শিক্ষার্থীর পরীক্ষার নম্বর নিয়ে ছলচাতুরী, অভিভাবকের অভিযোগ

হবিগঞ্জ: আজমিরিগঞ্জ উপজেলার মিজাজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম। একই স্কুলের ছাত্র তার ছেলে সাদাব হোসেন।

সাদাবের সহপাঠী তায়িবা রহমান তাছমি। এবার ক্লাস ফোরে উঠেছে দুজন। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় সাদাবের রোল ছিল ৫৬, তাছমির এক। কিন্তু চতুর্থ শ্রেণিতে ওঠার পর রোল পাল্টে গেছে দুজনের। সাদাবের হয়েছে ১, তাছমির ২।

এ ঘটনা নিয়ে তাছমির বাবা মো. মকলিছ মিয়া দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন সাদাবের বাবা ও মিজাজিয়া সরকারি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত রোববার (১ জানুয়ারি) আজমিরিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে পরীক্ষার খাতা পুর্নমূল্যায়নের দাবি জানান।

মকলিছ মিয়ার অভিযোগ, গত বার্ষিক পরীক্ষায় সহকারী শিক্ষকের ছেলে সাদাবকে অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে রোল ১ করে দেওয়া হয়েছে। তাছমির রোল নম্বর করা হয়েছে দুই। সাদাবের বাবা স্কুলের সহকারী শিক্ষক ও মা মৌসুমি আক্তার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তাদের ছেলে লেখাপড়ায় দুর্বল। পরীক্ষায় এত নম্বর পাওয়ার কথা না। তবুও অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে তাকে ৫৬ নম্বর থেকে এক নম্বরে আনা হয়েছে। মাজহারুল ইসলাম ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে তার ছেলেকে বেশি নম্বর দিয়েছেন। অতিরিক্ত নম্বর দিয়েছেন ইংরেজি বিষয়ে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা ও পরীক্ষার খাতা পুর্নমূল্যায়ন চান তিনি।

মিয়াধন মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সহকারী এক শিক্ষক প্রাইভেট পড়ান সাদাবকে। তিনি বলেন, সন্তানের রোল নম্বর এগিয়ে নিতে শিক্ষকের এমন স্বজনপ্রীতি দুঃখজনক। এমন ঘটনা শিক্ষার্থীদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ছেলেটি লেখাপড়ার যে অবস্থা, সে এক নম্বর হওয়ার কথা না।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা সম্পর্কেও প্রশ্ন ওঠে। এ বিষয়ে মিজাজিয়া সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোখসানা পারভিন বলেন, এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কোনো ভূমিকা থাকে না। শ্রেণি শিক্ষক খাতা দেখে নম্বর দেন। তবে কেউ ইচ্ছে করলেই অতিরিক্ত নম্বর দিতে পারবে না। যেহেতু অভিযোগ করা হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো . হাসিবুল ইসলাম বলেছেন, মকলিছ মিয়ার অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।