ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কাছে বিরল একটি খনিজ চুক্তির দাবি করে প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প। কিন্তু এখন তিনি দাবি করছেন, জেলেনস্কি সেই খনিজের অংশ দিতে রাজি হয়েছেন।
ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ পাওয়ার জন্য কিয়েভের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কৌশল হিসেবে, শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী ইলন মাস্ককে ‘ব্যবহার’ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। বিরল ওই খনিজের চুক্তি না হলে মাস্কের গুরুত্বপূর্ণ স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে কিয়েভকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের সেই খনিজ থেকে ভাগ পাবেন, এমন দাবি করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি মার্কিন রাজনীতি ও ট্রাম্পের কৌশলের জন্য একটা জয়ী মুহূর্ত।
ওয়াশিংটনের উপকণ্ঠে মেরিল্যান্ডের ন্যাশনাল হারবারে রক্ষণশীলদের এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেছেন, আমি মনে করি আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বিরল খনিজের অংশ যুক্তরাষ্ট্রকে দিতে চুক্তি করতে রাজি হয়েছেন।
মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভকে সহযোগিতার বিনিময়ে এ চুক্তি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে যে বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা ওয়াশিংটন দিয়েছে, সেটি পুনরুদ্ধারের জন্য বিরল খনিজ, তেল বা যেকোনো কিছু পেতে চান তিনি।
ট্রাম্প আরও বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট পুতিন ও জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের জানিয়েছি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনকে দেওয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ফেরত পেতে চাই বা এর বিনিময়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।
রিপাবলিকান এ নেতা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার প্রশাসনকে ‘স্টুপিড’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, তারা অদক্ষ। কেননা, ইউক্রেনকে ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণ হিসেবে দিয়ে ফেরতও পেয়েছে ইউরোপ। অথচ, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিনিময় ছাড়াই দিয়েছে ৩৫০ বিলিয়ন ডলার। আমি ইউক্রেনে যুদ্ধ ও মৃত্যু বন্ধ করার চেষ্টা করছি। তাই আমরা ইউক্রেনের বিরল খনিজ, তেল বা যে কোনো কিছুর অংশিদারত্ব দাবি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
সুরমা/এমজে