মেলায় ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু শিরোনামে উদযাপন হবে বাংলাদেশ দিবস। ওইদিন উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এছাড়া সোমবার (২১ জানুয়ারি) বইমেলার মূল আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের পক্ষ থেকে এক প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। সেখানে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ৩০ তারিখের বদলে একদিন পিছিয়ে ৩১ জানুয়ারি বইমেলা শুরু হবে এবং এই বইমেলা চলবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত বছরের মতো এবারও সল্ট লেকের সেন্ট্রালপার্ক প্রাঙ্গণে বসবে মেলা। প্রতিদিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে। এবারের বইমেলার মূল থিম কান্ট্রি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন।

থাকবে সাড়ে ৪শ’ প্রকাশনা সংস্থা এবং ২শ’ লিটল ম্যাগাজিনের স্টল। ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি বসবে ষষ্ঠ কলকাতা সাহিত্য উৎসবের আসর। পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য জানান, এবারই ইরান প্রথমবারের জন্য এই বইমেলায় অন্যতম বিদেশি দেশ হিসেবে অংশগ্রহণ করতে চলেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ, ব্রিটেন, আমেরিকা, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, জাপান, চীন, স্পেন,কোস্টারিকা, আর্জেন্টিনাসহ ২৬টি দেশ নিজেদের সাহিত্য সম্ভার নিয়ে হাজির হবে এবং থাকবে সেসব দেশের লেখক সাহিত্যিকরা।
একইসঙ্গে ভারতের দিল্লি, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু, গুজরাট, নাগাল্যান্ড, আসাম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা, ওড়িশাসহ একাধিক রাজ্যের প্রকাশনা সংস্থাগুলো এবারের বইমেলায় অংশ নেবে।
আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত বছর বইমেলায় প্রায় ২২ লাখ পুস্তকপ্রেমী হাজির হয়েছিলেন এবং ২২ কোটি রুপিরও বেশি বই বিক্রি হয়েছিল। আগামী বইমেলায় আরও বেশি মানুষের আগমন ঘটবে বলে আশাবাদী পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের কর্তারা। তবে বাংলাদেশের প্যাভিলয়ন প্রতিবারই ভিন্নভাবে সাজায়। যা মেলার অনেকটাই আকর্ষণ বাড়ায়। এবার বাংলাদেশের থিম ঢাকার রোজ গার্ডেন।
প্রসঙ্গত, রোজ গার্ডেন প্যালেস বাংলাদেশের একটি প্রাচীন ঐতিহাসিক ভবন, যা সংক্ষেপে রোজ গার্ডেন নামে পরিচিত। এটি ঢাকার টিকাটুলি এলাকায় অবস্থিত। প্রাচীন হিন্দু জমিদার ঋষিকেশ দাস ১৯৩১ সালে ২২ বিঘা জমির উপর এই বাগানবাড়ি নির্মাণ করেছিলেন। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এই স্থাপনাটি জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, ২১ জানুয়ারি, ২০১৯
ভিএস/আরআর