ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মণিপুরে বড় ধরনের সহিংসতা ঘটছে না: অমিত শাহ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
মণিপুরে বড় ধরনের সহিংসতা ঘটছে না: অমিত শাহ

কলকাতা: উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুর রাজ্যে স্থায়ী শান্তি ফেরানোর জন্য ভারত সরকার মেইতি ও কুকি—উভয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলছে জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, আমরা মণিপুরের সব বিষয়ের ওপর নজর রাখছি। গত সপ্তাহে তিন দিনের সহিংসতা ছাড়া গত তিন মাসে মণিপুরে বড় ধরনের কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নরেন্দ্র মোদী সরকারের চলতি মেয়াদের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তবে এর বাইরে মণিপুর প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন অমিত শাহ।

মণিপুরে বড় ধরনের সহিংসতা এখন আর ঘটছে না জানিয়ে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মণিপুরে সহিংসতার মাত্রা কমেছে। রাজ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি ফেরাতে সব পক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। আমরা কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে কথা বলছি।

চলতি মাসের শুরু থেকেই নতুন করে অশান্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। কখনও ড্রোন হামলা, কখনও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, কখনও আবার পুলিশের অস্ত্রাগার লুটের চেষ্টায় ঘুম উড়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর। সাম্প্রতিক নানা সহিংসতার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছিল। জখম হয়েছেন ১২ জনেরও বেশি। প্রতিবাদে রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। স্কুলের পোশাকে ইম্ফলের রাস্তায় মিছিল করে তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল-কলেজ। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা। তবে সে বিষয়ে বিশদে কিছু বলেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

জানা গেছে, ছয় দিন পর মণিপুরের পাঁচ জেলায় ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা উঠেছে। মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যটির স্কুল-কলেজও খুলেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মণিপুরে এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে চলেছে।

বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর মণিপুরের পাঁচ জেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পাঁচ জেলা হলো—পূর্ব ও পশ্চিম ইম্ফল, থৌবাল, বিষ্ণুপুর ও কাকচিং। ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টা থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুর ৩টা পর্যন্ত পাঁচ দিন গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক গুজব ছড়ানো হচ্ছিল বলেই এই পদক্ষেপ, এমনটাই জানিয়েছিল সরকার। এর পাশাপাশি তিন জেলায় কারফিউও জারি করেছিল প্রশাসন।

সোমবার রাজ্যটির কমিশনার (হোম) এন অশোক কুমার জানিয়েছিলেন, লিজ় লাইন, ভিএসটি, ব্রডব্যান্ড এবং ভিপিএন পরিষেবাসহ সমস্ত ইন্টারনেট পরিষেবা অবিলম্বে চালু করা হবে। মঙ্গলবার থেকে রাজ্যের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।