ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

যুদ্ধে গিয়েছিলাম জাতির পিতার ডাকে: চসিক মেয়র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
যুদ্ধে গিয়েছিলাম জাতির পিতার ডাকে: চসিক মেয়র ...

চট্টগ্রাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী৷

শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে পাহাড়তলী শেখ রাসেল পার্কে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।  

মেয়র বলেন, বাঙালির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধ।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রাম করে এই দেশটির স্বাধীনতা এসেছে।  তাঁর জন্ম না হলে এই জাতিকে এক করে যুদ্ধের ময়দানে নেওয়া যেতো না।
বঙ্গবন্ধুর জন্মের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম বাস্তবে রূপায়ণের সুযোগ তৈরি হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরিণত হয়েছিলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিতে।  

‘ভেতো বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ডাকে যোগ দিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। দুর্বল বাঙালিরা একেকজন পরিণত হয়েছিল স্বাধীনতার লড়াকু সেনায়। ছাত্র অবস্থায় নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে যুদ্ধে গিয়েছিলাম কেবল জাতির পিতার ডাকে। অনেক সহযোদ্ধার প্রাণ গেছে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রেরণায় লড়াই চালিয়ে গেছি, এনেছি স্বাধীনতা’।

শিশুদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হৃদয়ে লালনের আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আজকের শিশুরাই আগামির স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বে। তোমাদের নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন। তোমাদের হাত ধরে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত লড়াই সম্পন্ন হবে, গড়ে উঠবে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলা।  মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে তবে মুক্তির যুদ্ধ আজো শেষ হয়নি। সাম্য ও মানবিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে আমরা যে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হই সে যুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ আমাদের বুকে ধারণ করতে হবে, লড়তে হবে সে আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য।

আলোচনা সভার পর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক আয়োজন পরিচালনা করে।  চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, কাউন্সিলর ও চসিকের সমাজকল্যাণ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি মো. আবদুস সালাম মাসুম, মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবুল হাসনাত মো. বেলাল,  সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত।  

উপস্থিত ছিলেন সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, শিক্ষা কর্মকর্তা উজালা রানী চাকমা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, উপ-সচিব আশেকে রাসুল টিপু, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ, চসিক সিবিএ সভাপতি ফরিদ আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাহেদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সহ-সম্পাদক বিপ্লব চৌধুরী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৯টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শুরু হয় কর্মসূচি। দিবস উপলক্ষ্যে ওয়ার্ডস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রসমূহে ও সদরঘাট চসিক জেনারেল হাসপাতালে দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনভুক্ত মসজিদ, মাদ্রাসায় মিলাদ ও বিশেষ মোনাজাত, মন্দির ও গির্জায় আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রার্থনার। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আলোকসজ্জা, ফ্লাইওভারের নিচে বিদ্যমান এলইডি দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন, ড্রপওয়াল প্রদর্শন করা হচ্ছে।  

পাশাপাশি ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যথাযথ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।