ঢাকা, রবিবার, ৯ চৈত্র ১৪৩১, ২৩ মার্চ ২০২৫, ২২ রমজান ১৪৪৬

ভারত

নাগপুরের ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
নাগপুরের ‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা’ নিয়ে মুখ খুললেন মমতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা: ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

তিনি বলেছেন, আমি কোনোরকম সহিংসতায় সমর্থন যোগাতে পছন্দ করি না।

যখন বিরোধী দল হিসেবে লড়েছি, সেই সময়ও কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকে ইন্ধন দিইনি।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে এ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি বলেন, আমার মনে পড়ে ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছিল, একটা বড় ধরনের দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল। আমি তখন রাইটার্স বিল্ডিং-এ  (তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক ভবন) যাই। তখন রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় ছিল। আমি তাদেরকে আবেদন জানাই, আপনারা যদি কোনো পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন সেটা আমাকে জানান, সেক্ষেত্রে আমিও আপনাদের সাহায্য করতে পারি।

এরপর তিনি বলেন, আর প্রসঙ্গ যখন মহারাষ্ট্র, সেক্ষেত্রে বলতে পারি, আপনারা উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পাওয়াদের জিজ্ঞাসা করুন। ওরা উত্তর দিতে পারবে। এই প্রসঙ্গে আমার একটাই বক্তব্য, একতাই বিশ্বাস।  কঠিন সময়ে ঝগড়া করা উচিত নয়। যখন কোনো সমস্যা তৈরি হয় তখন সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হয়।

মূলত নাগপুরে যখন উত্তেজনা সামাল দিতে পথে নামে পুলিশ। সেই সময়ই মহারাষ্ট্রের শাসক এবং বিরোধীদের মন্তব্যে সহিংসতার পারদ আরও চড়ে গিয়েছিল। আর সেই সহিংসতার প্রসঙ্গেই এদিন মুখ খুলতে দেখা গেল মমতাকে এবং সেখানে শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে এবং এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের নাম নিয়ে বুঝিয়ে দিলেন, তারা জোট শরিক হলেও তাদের ভূমিকায় মোটেও সন্তুষ্ট নন মমতা।

গত কয়েকদিনে ভয়াবহ সহিংসতার সাক্ষী থেকেছে নাগপুর। একটা সিনেমা (ছাবা) নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক। প্রশ্ন ওঠে, ভারতীয় রাজনীতিতে মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে। এমনকি আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বজরং দল, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দু সংগঠনগুলো।

তারই মধ্যে নাগপুরে একটি গুজবের জেরে গত সোমবার সন্ধ্যায় পাল্টা বিক্ষোভ করে এক সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ‘মাইনোরিটিস ডেমোক্রেটিক পার্টি’। যার নেতৃত্বে ছিলেন ফাইম খান। দুই তরফের উত্তেজনায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়। নাগপুরের মহাল, কোতোয়ালি, চিতনিস পার্ক, গণেশপেঠ এবং শুক্রওয়ারি তালাওসহ বেশ কিছু এলাকায় সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়, লাঠিচার্জও করে। পাল্টা পুলিশের ওপর পাথর ছোড়া হয় এবং বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দাঙ্গাকারীরা। ওই সহিংসতার ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ সদস্যসহ ২০ জন আহত হয়। আটক করা হয় প্রায় অর্ধশতাধিক দাঙ্গাকারীকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জারি করা হয় কারফিউ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।