ঢাকা: সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে যেটা প্রয়োজন এখনই অধ্যাদেশের মাধ্যমে করতে হবে। যেটা প্রয়োজন নেই সেটা সংসদের জন্য রেখে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অলি আহমেদ বলেন, শুধু পুলিশ ও ইউএনও দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এখানে কাজ হলো প্রত্যেকটি ভোটার তার আইডি কার্ড বহন করবে, পুলিশকে তা চেক করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিতে হবে। তারপর প্রিসাইডিং অফিসার আইডি কার্ড দেখে ব্যালট পেপারের পেছনে ভোটার নিশ্চিত করবে। এই নিশ্চিত করা ছাড়া কেউ ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু ভোটের বাধা হলো, যে পারে ইচ্ছামতো ব্যালট পেপার বক্সে ঢুকিয়ে দেবে। ব্যালট পেপারের পেছনে আইডি নম্বর লেখা থাকলে ব্যালট পেপার কেটে বক্স বোঝাই করতে পারবে না। ভোটকেন্দ্রে দুর্নীতি হলে ওই ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সকলকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুর্নীতি শুরু হয় উল্লেখ করে অলি আহমেদ বলেন, একজন নির্বাচিত হওয়ার আগে কিছুই প্রয়োজন থাকে না। কিন্তু নির্বাচিত হয়ে আসার পর পর তার দামি গাড়ি, ঢাকায় প্লট-ফ্ল্যাটের চাহিদা তৈরি হয়। এই দুর্নীতি বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
সংলাপে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, বদিউল আলম মজুমদার।
অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপির ৮ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, কে কিউ সাকলায়েন, ওমর ফারুক, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজী।
সংস্কার বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের উদ্দেশ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রথম পর্যায়ে গঠিত সংস্কার কমিশনগুলোর মধ্যে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলোর ওপর রাজনৈতিক দলের সুনির্দিষ্ট মতামত গত ১৩ মার্চের মধ্যে জানাতে অনুরোধ করে সুপারিশগুলোর স্প্রেডশিট আকারে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এ পর্যন্ত ১৬টি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে কমিশন মতামত পেয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
জেডএ/এমজেএফ