ঢাকা: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।
বুধবার (০৪ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ভারত ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার শর্ত লঙ্ঘন করেছে।
গণসংহতি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশ বিষয়ে যে অসত্য ও অতিরঞ্জিত প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে, তার ফলাফল হচ্ছে এই হামলা। ফলে ভারতের সরকার এই হামলার দায় এড়াতে পারে না।
তারা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সাথে সমমর্যাদা ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে সম্পর্ক চায়। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের জনগণের সাথে ভারতের জনগণের সম্পর্ক—এই নীতির আলোকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখনো এক ঝুড়িতে সব ডিম রাখার নীতির বাইরে এসে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারছে না, যা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে গুরুতর হুমকির মুখে ফেলছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানাই, সম্প্রীতি ঐক্য বজায় রাখার মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সমস্ত হুমকি মোকাবিলা করে একটি গণতান্ত্রিক, বহুত্ববাদী, সমস্ত জনগণের অধিকার রক্ষায় সক্ষম বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।
ভারত সরকারকে অবিলম্বে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র বন্ধ করে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণের আহ্বান জানান গণসংহতি আন্দোলনের নেতারা। তারা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই অঞ্চলের সব রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪
আরকেআর/এমজেএফ