ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ক্ষমতায় যারাই আসুন না কেন, খুনি হাসিনার পতনের কারণ মনে রাখবেন: মাসুদ সাঈদী 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
ক্ষমতায় যারাই আসুন না কেন, খুনি হাসিনার পতনের কারণ মনে রাখবেন: মাসুদ সাঈদী 

কক্সবাজার: পিরোজপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, ইসলাম গতানুগতিক কোনো ধর্মের নাম নয়, এটি আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম সার্বজনীন ধর্ম।

ইসলাম শুধু মক্কা-মদিনা বা আরব দেশ ও জাতির জন্য নয় বরং ইসলাম বিশ্বের সকল বর্ণ, গোত্র, জাতি, ধনী-গরিব, সাদা-কালো, আরব-অনারব সকল মানুষের জন্যই প্রেরিত ও একমাত্র পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা এবং আল্লাহর মনোনীত দ্বীন।  

মানবরচিত কোনো মতবাদই দুনিয়াতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। একমাত্র ইনসাফ ও ভারসাম্যপূর্ণ আল্লাহর আইন দ্বারাই আল্লাহর জমিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। আর এজন্য প্রয়োজন আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন। ইসলাম প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত সংগঠন শহীদী কাফেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও আমানতদার লোক হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জামায়াত হচ্ছে নীতি-নৈতিকতা সম্পন্ন আদর্শ মানুষ গড়ার কারখানা। দুনিয়া বাদ দিয়ে আখিরাতে সফল হওয়া সম্ভব নয়। আর আখিরাত বাদ দিলে দুনিয়ার জীবন ব্যর্থ। তাই জামায়াতের সকল কর্মসূচি দুনিয়া ও আখিরাতমুখী। দুনিয়া চাষ করেই আমাদেরকে আখিরাতের সফলতা অর্জন করতে হবে।  

পিরোজপুরের জিয়ানগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী আজ কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত চকরিয়া ছাত্রকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ৫ম বার্ষিকী ঐতিহাসিক তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

আলহাজ হাফেজ মাওলানা রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও আলহাজ আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় তাফসীর মাহফিলে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন চকরিয়া ছাত্রকল্যাণ ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা মুসা বিপ্লব ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ ফোরামের সভাপতি হাসানুজ্জামান।

ঐতিহাসিক এই তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান মুফাসসির হিসেবে উপস্থিত থেকে তাফসীর পেশ করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, তাহরিকে খতমে নবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর, জৈনপুরী দরবার শরীফের পীর মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী। মাহফিলে আরো তাফসীর করেছেন বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, খ্যাতিমান আলেমে দ্বীন মাওলানা নাসিরউদ্দিন হেলালী, চিরিংগা জামে মসজিদের খতিব অধ্যাপক মাওলানা কফিল উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ সাঈদী বলেন, যুগে যুগে নবী-রাসূলগণ দ্বীনের দাওয়াত দিতে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত সমাজব্যবস্থার তীব্র বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু কোনো বাধাই তাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত থেকে বিরত রাখতে পারেনি। আমাদেরকে সকল বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে দ্বীনের দাওয়াত চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদেরকেও জান ও মালের কুরবানী পেশ করতে হবে। যেমন করে জান ও মাল কুরবানীর এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গিয়েছেন আমাদের শহীদেরা। কোরআনের পাখি আল্লামা সাঈদী তার প্রায় পুরো জীবনটাই দাওয়াতে দ্বীনের কাজে ব্যায় করেছেন। তিনি চাইলে আরাম আয়েশের জিন্দেগী বেছে নিতে পারতেন, চাইলে তিনি অন্য অনেকের মতো ফ্যাসিস্টদের সাথে আপসও করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার খুনি হাসিনার সকল অত্যাচার নির্যাতন জেল জুলুম সহ্য করেও ঈমানের উপর অবিচল থেকেছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নানা রকম প্রস্তাব প্রলোভন দু'পায়ে ঠেলে দিয়ে ঈমানের বলে বলিয়ান হয়ে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত জালিমের সাথে আপস না করে আল্লামা সাঈদী প্রমাণ করে গেছেন একজন ঈমানদার মুসলমান কোনদিন কখনো আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে মাথা নত করতে পারেনা। সুতরাং আল্লামা সাঈদী রহ. সহ শত শত শহীদের রক্তে রঞ্জিত এই বাংলাদেশকে কুরআন দিয়ে পরিচালনার মাধ্যমে সমাজে শান্তি নিশ্চিত করা শপথ আমাদের করতে হবে।

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে আগে নিজেরদের ঘরে দাওয়াতী কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মাসুদ সাঈদী বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে আমাদের নিজেদের ঘরকে ইসলামী আন্দোলনের উর্বর ক্ষেত্রে পরিণত করতে হবে। পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনকে ইসলামী আন্দোলনে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। আল্লাহই আমাদের একমাত্র রব। তিনিই আমাদের একমাত্র পালনকর্তা, হুকুমদাতা, বিধানদাতা, রিজিকদাতা। এই কথাগুলো বিশ্বাস করার সাথে সাথে তা বাস্তবায়নে পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে নিজেও তা আমলের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।

বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদী আরো বলেন, ইসলাম পালন করা যেমন ফরজে আইন, তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করাও ফরজে আইন। আল্লাহ তায়ালা বলছেন, ওয়াকিমুস সালাত- মানে নামাজ কায়েম করো। সেই আল্লাহই বলছেন, ওয়াকিমুত দ্বীন- মানে দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠা করো। দুটিই সরাসরি আল্লাহর নির্দেশ, যা পবিত্র কোরআনে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা আল্লাহ ফরজ করে দিয়েছেন। আর সমাজে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা একাকী সম্ভব নয়, দলবদ্ধভাবে সেটা করতে হয়। তাই আল্লাহর এই জমিনে সকল প্রকার মানব রচিত মতবাদকে মূলোৎপাটন করে ইসলামকে বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

আমরা যদি প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে কুরআনের বিজয় চাই তাহলে আমাদেরকে কুরআন অনুযায়ী জীবন গঠন করতে হবে। কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে বোঝার জন্য আর বুঝতে হবে আমল করার জন্য। শুধু ব্যক্তি জীবনে ইবাদত-বন্দেগির বিধান আমল করলেই চলবে না বরং ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন এমনকি রাষ্ট্রীয় জীবনেও কোরআনের বিধিবিধান আমল করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। একই সাথে কুরআনি সমাজ কায়েম করার স্বপ্ন নিয়ে মানুষদেরকে কুরআনের পথে আসার উদাত্ত আহবান জানাতে হবে।

কুরআনি সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনে সমমনা দল ও গ্রুপের সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক উল্লেখ করে মাসুদ সাঈদী বলেন, রাসূলে কারীম (সা) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর মদিনা সনদের মাধ্যমে যাদের সাথে ঐক্য করেছিলেন তারা সবাই আল্লাহর রাসূলের রেসালাতে বিশ্বাসী ছিলেন না। কুরআনি আইন প্রতিষ্ঠা সে ঐক্যের মূলমন্ত্রও ছিল না। সে ঐক্য হয়েছিল মদিনাকে শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালনের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে। রাসূলে কারীম (সা) এ ধরনের ঐক্য করেই মদিনায় নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর এ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই পরবর্তীতে দ্বীন কায়েমের পথ সুগম হয়েছিল।

স্বৈরাচার হাসিনার জুলুমের বর্ণনা দিয়ে মাসুদ সাঈদী বলেন, জালিমদেরকে আল্লাহ ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার নির্যাতন আল্লাহ তায়ালা সহ্য করেন নাই। আল্লাহর দেওয়া সুযোগকে হাসিনা কাজে লাগাতে পারে নাই। অবশেষে সর্বশক্তিমান আল্লাহ হাসিনাকে পাকড়াও করেছেন, আর আল্লাহর পাকড়াও বড়ই কঠিন। আল্লাহ যেদিন হাসিনাকে ধরেছেন সেদিন হাসিনা তার বাড়া ভাতটুকুও খেতে পারেনি। শেখ হাসিনার দুঃশাসন ৭২-৭৫ সালের দুঃশাসনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। হাসিনা সরকারের পতনের মূল কারণ দুঃশাসন ও নির্যাতন। ২০০৯ থেকে ২০২৪- ইউপি থেকে শুরু করে সংসদ নির্বাচনে কোনো মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তারা ১৭টি বছর খুন, গুম-রাহাজানিসহ বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে দেশের বাইরে পাচার করেছে। দেশের লাখ-লাখ কোটি-টাকা লুটপাট করে বিদেশে বেগমপাড়া বানিয়েছে শেখ হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। আজ তাদের পতন হয়েছে। তাদের এই পতনের মধ্যে রয়েছে জালিমদের জন্য শিক্ষা। আমরা আশা করি ভবিষ্যতে যে বা যারাই ক্ষমতায় আসবেন তারা খুনি হাসিনার পতনের কারণ ও তার করুণ পরণতি তাদের স্মরণে রাখবেন। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের স্মৃতি মাথায় রেখে নতুন দেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। আগামীতে দুঃশাসনের রাজনীতি, চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজীর রাজনীতি, হত্যার রাজনীতি এদেশের জনগণ আর কাউকেই করতে দেবে না।

যুবকদের উদ্দেশ্যে মাসুদ সাঈদী বলেন, যুবকরাই ইসলামের প্রাণশক্তি। ইসলাম যেখানে যৌবনকালকে এত গুরুত্ব দিয়েছে, মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যৌবনকালকে ভালো কাজে ব্যয় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছে, সেখানে আমাদের দেশে অপশক্তিগুলো তরুণ-যুবকদেরদের নেশা, সন্ত্রাস অপকর্মের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আর পৃথিবীর প্রতিটি বিভাগেই যুবসমাজের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। তাই আল্লাহর দেওয়া পবিত্র আমানত যৌবনের প্রতিটি ধাপ, মেধা, শ্রম ও প্রতি ফোঁটা রক্ত মানুষ সত্যিকার অর্থে আল্লাহর পথে ব্যয় করলে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র কল্যাণে ভরে যাবে এবং পরকালের ভয়াবহ দিনে যেদিন আল্লাহর ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া থাকবে না সেদিন আল্লাহর আরশের ছায়াতলে আশ্রয় লাভের সৌভাগ্য অর্জন করবে। অন্যথায় জাহান্নামের লেলিহান শিখায় অগ্নিদগ্ধ হতে হবে। আজ দেশের এই ক্রান্তিকালে আমরা চাই তরুণ-যুবকরা গড্ডলিকা প্রবাহে না ভেসে ইসলাম সম্পর্কে জানবে, ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং সে অনুযায়ী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হবে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, জৈনপুরী দরবার শরীফের পীর মুফতি ড. সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী ওয়া সিদ্দিকী তার আলোচনায় বলেন, মহাগ্রন্থ আল কুরআন হলো মহান আল্লাহর মহাদান, রাসূল (সা)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা, বান্দার জন্য রহমতের ভান্ডার। সর্বোপরি বিশ্বমানবতার মুক্তির মহাসনদ। কুরআন এমন একটি কিতাব যা তিলাওয়াত করলেও সওয়াব, শুনলেও সওয়াব, শিখলেও সওয়াব, শেখালেও সওয়াব, আমল করলেও সওয়াব, কাউকে আমল করতে উৎসাহিত করলেও সওয়াব। কুরআনি সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ হলেও সওয়াব, গাজী হলেও সওয়াব। পৃথিবীতে কুরআন ছাড়া এমন কোনো গ্রন্থ নেই যা তার অনুসারীদেরকে এভাবে উজ্জীবিত করে।

আল্লাহ তায়ালা অস্বাভাবিক পদ্ধতিতে ইসলাম কায়েম করে দেন না, তিনি ইসলাম বিরোধীদেরকে ধ্বংস করে দিয়ে ইসলামকে বিজয়ী করে দিতে সক্ষম। কিন্তু তা তিনি করেন না। তিনি তখন মুসলমানদেরকে সাহায্য করেন যখন মুসলমানরা দ্বীন কায়েমের জন্য চেষ্টা করে। মুসলমানদের মধ্যে কুরআনি সমাজ প্রতিষ্ঠার ভিশন থাকতে হবে। রাসূলে কারিম (সা)-এর সামনে ভিশন ছিল দ্বীনকে গালিব করা। সাহাবায়ে কেরাম সেই ভিশনকে সামনে রেখে দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছিলেন। এ জন্য শত নির্যাতন নিপীড়ন ভোগ করেছিলেন। আপন জন্মভূমি থেকে হিজরত করেছিলেন। ভিশনের জন্য তাঁদের ত্যাগ ও কোরবানির বিনিময়ে মাত্র তেরো বছরের ব্যবধানে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তাঁরা সক্ষম হয়েছিলেন।

তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন চকরিয়া হাইস্কুল ক্যাম্পাস জামে মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা আলাউদ্দিন ইমামী, পূর্ব নলুয়া উত্তর পাড়া জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মিনারুল ইসলাম, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদরাসার প্রভাষক ওয়াজেদুল আকবর।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।