ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

‘দাদার হত্যাকারীর বিচার দেখে গেলে বাবা স্বস্তি পেতেন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
‘দাদার হত্যাকারীর বিচার দেখে গেলে বাবা স্বস্তি পেতেন’

ঢাকা: অধ্যাপক অজয় রায়ের ছোট ছেলে অনুজিৎ রায় বলেন, আমার দাদা (বড় ভাই) অভিজিৎ রায়ের হত্যাকারীদের বিচার দেখে গেলে বাবা স্বস্তিবোধ করতেন। সেই বেদনা নিয়েই বাবা চলে গেলেন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অধ্যাপক অজয় রায়ের নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলির আয়োজনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় এ শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজনে যোগ দেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

অনুজিৎ রায় বলেন, পিতা হারানোর বেদনা আমি মর্মে মর্মে অনুভব করছি। তিনি শুধু আমার পিতা ছিলেন না। তিনি ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানী, লেখক, বুদ্ধিজীবী; সর্বোপরি একজন মুক্তচিন্তার মানুষ।

‘বাবা ইচ্ছা করলে সপরিবারে বিদেশে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। তিনি সপরিবারে বাংলাদেশে থেকেছেন। তিনি বলতেন, এটা আমার দেশ, আমি দেশ ছেড়ে কেন যাব?’

তিনি আরও বলেন, মৌলবাদমুক্ত, উদার গণতান্ত্রিক একটি রাষ্ট্রের জন্য বাবা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। তার প্রত্যাশা মাফিক বাংলাদেশ হলে, তার সব সংগ্রাম সার্থক হবে।

অনুজিৎ রায় জানান, অজয় রায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল, তার মরদেহ চিকিৎসাবিজ্ঞানের গবেষণার জন্য দান করা। সেই ইচ্ছা অনুযায়ী, মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তার মরদেহ দান করা হবে।

সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান অধ্যাপক অজয় রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৯
ডিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।