সোমবার (০৪ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে ইকবাল মাহমুদ বলেন, প্রতিষ্ঠান হিসাবে দুদক মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে কি-না, সেটাও আপনারা লক্ষ্য রাখবেন।
তিনি বলেন, দুর্নীতি করলে কাউকেই ছাড় দেবে না কমিশন। এক্ষেত্রে কোনো পরিচয়ই কাজে আসবে না। দুর্নীতিপরায়নদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, দুদক ও মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা যেতে পারে। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য প্রায় অভিন্ন। সুশাসন প্রতিষ্ঠাই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য।
সৌজন্য সাক্ষাতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বলেন, মূল্যবোধ বিকশিত করার ক্ষেত্রে দুদক এবং মানবাধিকার কমিশন একত্রে কাজ করতে পারে। মানুষের অধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, এ বিষয়ে মানবাধিকার কমিশন সজাগ থাকবে। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে আমরা আমাদের আইনি দায়িত্ব পালন করবো এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সাক্ষাৎ শেষে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি কর্মকাণ্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলে সেখানেও তৎপর থাকবে কমিশন।
সৌজন্য সাক্ষাতে আরো উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. নমিতা হালদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
ডিএন/জেডএস