ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১, ১১ মার্চ ২০২৫, ১০ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

‘১০ বছরে দেশে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৮
‘১০ বছরে দেশে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে’ সভায় অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: গত ১০ বছরে দেশে অসাধারণ অগ্রগতি হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ ধারা বজায় থাকলে বিশ্বের ২৬ তম অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশ হবে বাংলাদেশ।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে চেম্বার কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‌‘সিলেট অঞ্চলে প্রবাসী বিনিয়োগ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রের উপর পর্যালোচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজ চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

তিনি বলেন, শিল্পায়ন ছাড়া কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। পঁয়ত্রিশ বছর আগেও এ কথা বলেছিলাম, এখনও তা বলছি- শিল্পায়ন ছাড়া দেশেরউন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাবেক একান্ত সচিব ড. ফরাসউদ্দিন বলেন, সিলেটে বিনিয়োগ এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের যৌথ উদ্যোগে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, সিলেট নিয়ে আমি খুবই আশাবাদী। এখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য প্রচুর জমি রয়েছে। এছাড়া গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সুবিধাও পর্যাপ্ত রয়েছে।

সিলেটে দু'টি প্রকল্প সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক চারলেন এবং ট্রেনের ডাবল লেন বাস্তবায়নে একটু দেরি হচ্ছে। সিলেট-চট্টগ্রাম হাইওয়ে নির্মাণও জরুরি বলে মনে করি আমি।

তিনি আরো বলেন, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। সিলেটে কর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প যেমন বস্ত্রশিল্প কারখানা, আসবাবপত্র, আগর, তরল দুগ্ধ, মৎস্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, পর্যটন, গ্লাস ও সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করলে লাভবান হওয়া যাবে।

সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাবিপ্রবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফজলে এলাহী মোহাম্মদ ফয়সাল।

সভাপতির বক্তব্যে খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, সিলেট অঞ্চল শিল্প ও পর্যটনের জন্য একটি অপার সম্ভবনাময় স্থান। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সিলেট চেম্বার বিনিয়োগ সংক্রান্ত এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে।

সিলেট অঞ্চলে বিনিয়োগে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, উপস্থাপিত গবেষণাপত্রটি পরবর্তীতে আরো সমৃদ্ধ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ের এ গবেষণাপত্রটিতে বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের মতামত ও পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত করা হবে এবং পরবর্তীতে তার ইংরেজি ভার্সনে প্রকাশ করা হবে।

 সভায় অংশ নেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মো. মনির উদ্দিন, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির প্রো-ভিসি প্রফেসর শিব প্রসাদ সেন, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মুহ. হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি, স্কলার্সহোমের হেড অব একাডেমিক কাউন্সিল ড. কবীর এইচ চৌধুরী, শাবিপ্রবি’র ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আহমদ সায়েম, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শরফুদ্দিন, সিলেট চেম্বারের সহ সভাপতি মো. এমদাদ হোসেন, পরিচালক জিয়াউল হক, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাস পুরকায়স্থ ও বারাকা গ্রুপের ডিএমডি ফাহিম আহমদ চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।