ঢাকা, শনিবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১, ২২ মার্চ ২০২৫, ২১ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

মিরপুরের হোপ মার্কেটে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
মিরপুরের হোপ মার্কেটে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা

ঢাকা: ঈদের কেনাকাটায় জমে উঠেছে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর সেকশন সড়কের হোপ মার্কেট। দুপুরের পরপর দোকানদাররা বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন।

যত সময় গড়াচ্ছে, ক্রেতাদের উপস্থিতিতে লোকে লোকারণ্যে পরিণত হয়েছে পুরো মার্কেট।

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরের পরপর দেখা যায় মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে কেনাকাটার জন্য লোকজন আসছেন এ মার্কেটে।

হোপ মার্কেট পুরোটাই ফুটপাত বাজার। এ বাজারে সুঁই থেকে শুরু করে মানুষের জীবনযাপনে ব্যবহারের জন্য এমন জিনিস নেই যা এখানে পাওয়া যায় না। ফুটপাতে বাজার করতে আসার অন্যতম কারণ হলো কম দাম। একই পণ্য কাছের শাহ আলী মার্কেট থেকে যেটি ১ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কিনছে, হোপ মার্কেটে সেটি ৮০০ থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা দিয়ে কিনছে।  

হোপ মার্কেটে কসমেটিক থেকে শুরু করে নারীর একান্ত ব্যবহার সামগ্রীগুলো নারী বিক্রেতারাই বিক্রি করছেন। এ মার্কেটে নারী ক্রেতার বেশি উপস্থিতি হওয়ার এটাও অন্যতম কারণ বলে জানালেন মিরপুর ১৩ নম্বর থেকে আসা আসমা খাতুন।

বাজারের অধিকাংশ তুলনামূলক কম আয়ের মানুষ। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত নারীও কম নয়। তারা অন্য নামি-দামি মার্কেটে কেনাকাটা করলেও ক্যাজুয়াল ব্যবহার করার জন্য বা উপহারের জন্য এ বাজারে একবার হলেও আসছেন।

ওসমান গণি গাড়িচালক। একটি ব্যাংকের গাড়ি চালান। স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে হোপ মার্কেটে এসেছেন। স্ত্রী কাপড় দেখছেন। দেড় বছরের ছেলেকে কোলে করে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। ওসমান গণি জানালেন, এ মার্কেটের পণ্য ভালো। দামও তুলনামূলক কম। আমি মিরপুর-২ নম্বর থেকে শপিং করতে এসেছি। কাছে মিরপুর-১ নম্বরের ফুটপাত ও কম দামের বাজার ছিল, তারপরও এখানে এসেছি হরেক রকমের ডিজাইন ও কম দামের কারণে।  

আশা ইয়াসমিন এসেছেন জিন্স প্যান্ট কিনতে। চুড়ি, থান কাপড়, নারীর একান্ত ব্যবহারের এটা-ওটা কিনেছেন। তিনি জানালেন, রাফ ইউজের জন্য এ মার্কেটের পণ্য খুব ভালো। দামও কম।

প্রিন্টের থ্রি পিসের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। ৪০০ টাকায় মিলছে পাঞ্জাবি। এ বাজারে বাহারি জরির জামাকাপড় ৬০০ থেকে ধরণ ভেদে ১ হাজার টাকা। মিলছে বাচ্চাদের সব ধরনের কাপড়ও। একশ থেকে দুইশ টাকা দামের শার্ট-প্যান্টও মিলছে এ বাজারে।

হোপ মার্কেটের কাপড়সহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দাম কম হওয়ার পেছনে দোকান ভাড়া ও কর্মচারীর বেতন না থাকা এবং সারা বছরই কম-বেশি বিক্রি হওয়া। বড় মার্কেটের চিত্র পুরো উল্টো। এজন্য একই পণ্য মার্কেটে যে দামে বিক্রি হয়, এখানে তার চেয়ে ২০ থেকে ধরণ ভেদে ৪০ শতাংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন নারীদের সালোয়ার-কামিজ বিক্রেতা মাাহামুদুজ্জান হামিম।

মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর থেকে শুরু করে ওয়াসার সামনে পর্যন্ত এবং আইডিয়াল গার্লস স্কুলের গলি পর্যন্ত বিস্তৃত হোপ মার্কেট কেনাকাটার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
জেডএ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।