ঢাকা, শুক্রবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ মার্চ ২০২৫, ২০ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদের আগেই এক উৎসব যশোরে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
ঈদের আগেই এক উৎসব যশোরে

যশোর: ঈদের আগেই আর এক উৎসবের উপলক্ষ্য তৈরি হয়েছে যশোর শহরে। এবার অত্যাধুনিক সড়কবাতির ঝলকানিতে মুগ্ধ হচ্ছেন শহরবাসী।

ঈদ বাজারের আলোকসজ্জার পাশাপাশি সড়কবাতির আলোয় আলোকিত হয়েছে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি এলাকা।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১০টার দিকে যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম স্লুইচ চেপে আধুনিক এ সড়কবাতির উদ্বোধন করেন। এ সময় যশোরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

যশোর পৌরসভা ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আপাতত ২০টি সড়কবাতি স্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮টি স্থাপন করা হয়েছে জিলা স্কুলের সামনে থেকে রেলগেট ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তার ডিভাইডারের ওপরে। একটি জজকোর্ট মোড় এবং একটি ঈদগাহের সামনে স্থাপিত হয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উন্নত বিশ্বের আদলে স্থাপিত সড়কবাতিগুলো আমদানি করা হয়েছে রাশিয়া থেকে। প্রতিটি লাইট স্থাপনে ব্যয় হয়েছে দুই লাখ ২৫ হাজার টাকা। এগুলো যে স্ট্যান্ডের সঙ্গে স্থাপন করা হয়েছে তা অত্যাধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দনও। যা দেখে মুগ্ধ হবেন মানুষ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়নমূলক কাজের এ ধারাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

তিনি পৌরবাসীকে এসব দামি এলইডি সড়কবাতি সংরক্ষণের জন্য সজাগ থাকার আহ্বান জানান। একই সময় তিনি টাউন হল মাঠে স্থাপিত একটি সার্চলাইটের উদ্বোধন করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক জানান, একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এসব সড়কবাতি সংরক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
 
পৌর প্রশাসক ও যশোরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক রফিকুল হাসান জানান, যশোর শহরের অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকাগুলোকে আলোকিত করতে কাজ করা হচ্ছে। প্রথমে দড়াটানা ও মণিহার এলাকায় দুটি সার্চলাইট স্থাপন করা হয়েছিল। এবার টাউন হল মাঠে আরও একটি স্থাপন করা হলো। নিউ মার্কেট ও পালবাড়িতে আরও দুটি সার্চলাইট স্থাপনের কাজ চলছে।

তিনি বলেন, মুজিব সড়কে যে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে তা অত্যাধুনিক। পরিকল্পনা রয়েছে এ লাইটগুলোকে চাঁচড়া পর্যন্ত সম্প্রসারিত করার।

এমনিতে ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে মুজিব সড়কের বিপণিবিতানগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সড়কবাতির উদ্বোধনের পর এই এলাকায় দৃষ্টিনন্দন আলোর ঝলকানি দেখা দিচ্ছে।  যা দেখে এলাকাবাসী বেশ খুশি। বিশেষ করে যেসব স্থান সন্ধ্যায় অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকতো সেসব এলাকা আলোকময় হয়ে ওঠায় নিরাপত্তার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি একরাম উদ দ্দৌলা, ইনস্টিটিউট যশোরের সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ লিটু, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহির দাওয়ান আমিন, যশোর পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী শরীফ হাসান এবং সহকারী প্রকৌশলী কামাল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।