ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে: ড. ইউনূস

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৫
হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে: ড. ইউনূস স্কাই নিউজের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।  

তিনি বলেন, ‘বিচার হবে।

শুধু তার (হাসিনা) নয়, তার সঙ্গে জড়িত সকল লোক — তার পরিবারের সদস্য, তার ক্লায়েন্ট বা সহযোগীদেরও। ’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (৫ মার্চ) ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

মানবতাবিরোধী অপরাধ ও দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, (হাসিনাকে ফেরত চেয়ে) আমরা ‘আনুষ্ঠানিক চিঠি’ পাঠিয়েছি।  কিন্তু নয়াদিল্লি থেকে এখনও ‘কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া’ পাওয়া যায়নি।

তবে শেখ হাসিনার বিচার হতেই হবে বলে জোর দিয়েছেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘হাসিনা অবশ্যই আদালতের মুখোমুখি হবেন, আর সেটা সশরীরে বাংলাদেশে উপস্থিত থেকে হোক বা অনুপস্থিতিতে বা ভারতে থেকেই হোক। ’

প্রফেসর ইউনূস সম্প্রতি কুখ্যাত ‘আয়নাঘর’ বা গোপন টর্চার সেল পরিদর্শন করেছেন। যেখানে গত ১৫ বছর ধরে ভিন্নমতের লোকজনকে আটক রেখে অত্যাচার-নিপীড়ন চালিয়েছিল হাসিনা সরকার। সাক্ষাৎকারে বিষয়টি তুললে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জানান, সেখানে তিনি যা দেখেছেন তাতে তিনি হতবাক।

ড. ইউনূস বলেন, ‘এটিই সবচেয়ে কুৎসিত জিনিস যা আপনি দেখতে পারেন, আপনি অনুভব করতে পারেন বা আপনি পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। ’

হাসিনার বিরুদ্ধে তার নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করে শত শত নেতাকর্মীকে অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে। হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং প্রায় ৮০০ গোপন কারাগারের নেটওয়ার্ক তদারকি করার দায়ে অভিযুক্তদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, অভিযুক্ত অপরাধের সঙ্গে জড়িত লোকের সংখ্যা এবং পরিসর বেশি হওয়ায় কাজ করতে ‘সময় লাগছে। সবাই এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। পুরো সরকার এর সঙ্গে জড়িত ছিল। সুতরাং এটা বের করা কঠিন যে— কারা সত্যিই এবং উৎসাহের সঙ্গে এই অপরাধগুলো করছিল, আর কারা উচ্চপদস্থদের আদেশের অধীনে এসব কাজ করেছিল এবং কারা পুরোপুরি এসব অপরাধের সমর্থনকারী না হলেও এই ধরনের কর্মকাণ্ড চালিয়ে গিয়েছিল। কিছু অপরাধী শাস্তি পাবে, কিছু তখনও প্রক্রিয়াধীন থাকবে, কিছু তখনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। ’

তবে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা যাতে দ্রুত ন্যায়বিচার দেখতে পায় সে চেষ্টা করে চলেছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৫
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।