ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

আন্দোলনে নিহত হাসানের মরদেহ ৭ মাস পর বুঝে পেলেন স্বজনরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
আন্দোলনে নিহত হাসানের মরদেহ ৭ মাস পর বুঝে পেলেন স্বজনরা

ঢাকা: ডিএনএ'র মাধ্যমে শনাক্ত হলো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে নিহত এক যুবকের মরদেহ। ওই যুবকের নাম হাসান(২০)।

সাত মাস পরে বুঝে পেলেন স্বজনরা হাসানের মরদেহ।

বৃহস্পতিবার (১৩ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সারে ৭টার দিকে হাসানের মরদেহ পরিবারের কাছে লিখিতভাবে হস্তান্তর করা হয়। তবে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মরদেহ মরচুয়ারিতে থাকবে। জুমা নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত হাসানের বাবা মনির হোসেন বলেন, গত ১২ জানুয়ারি দুপুরে আমার ভাই ও হাসানের খালা ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে হাসানের মরদেহ শনাক্তের কথা বলেন। সে অনুযায়ী গত ১৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ি থানার মাধ্যমে আদালতের নির্দেশে মালিবাগ সিআইডি অফিসে আমি এবং হাসানের মা গোলেনুর বেগম ডিএনএ নমুনা দেই। (১২ ফেব্রুয়ারি) আমাদের জানানো হয় হাসানের ডিএনএ'র সঙ্গে আমাদের ডিএনএ মিলে গেছে।
আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদে হাসানের জানাজা হবে। এরপর মরদেহ গ্রামেবাড়ি নেওয়া হবে এবং সেখানে দাফন করা হবে।

মনির হোসেন আরও বলেন, তাদের বাড়ি ভোলা সদর উপজেলার কাছিয়া সাহা মাদার গ্রামে। হাসান যাত্রাবাড়ী সুতিখালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতো। এবং গুলিস্তান এরশাদ মার্কেটে একটি ইলেক্ট্রিক দোকানে কাজ করতো। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিল বড়। গত ৫ আগস্ট সুতিখালপাড়ের বাসা থেকে বের হয়। এরপর আর বাসায় ফিরেনি। অনেক হাসপাতালে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। এক যুবকের পায়ে তার প্যাঁচানো অবস্থায় যাত্রাবাড়ী রাম্তায় পরে থাকা একটি ছবি ভাইরাল হয়। সেই ছবিটাই হাসানের মরদেহ ছিল। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে আমার ছোট ভাই ও হাসানের খালা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে দেখে শনাক্ত করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গের ইনচার্জ রামু চন্দ্র দাস বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিহত একটি মরদেহ ডিএনএ'র মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে। রাতেই লিখিতভাবে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে শুক্রবার তারা মরদেহ নিয়ে যাবে বলে জানান। এখন পর্যন্ত এক নারীসহ আরও ৬ জনের মরদেহ হাসপাতালের মারচুয়ালিতে রাখা আছে। সবগুলো মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। কোনো স্বজন না থাকায় সবগুলো মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে অনেক স্বজনরা মরদেহ শনাক্তের জন্য আসলেও কেউ শনাক্ত করতে পারেনি।

যাত্রাবাড়ী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. মোরশেদ আলম বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়। বুধবার একটি মরদেহের সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলে যায়। বৃহস্পতিবার রাতেই লিখিতভাবে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।