ঢাকা, রবিবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সোনাগাজীতে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন চায় এলাকাবাসী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
সোনাগাজীতে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন চায় এলাকাবাসী বীজ বর্ধন খামার প্রকল্প

ফেনী: ফেনীর সোনাগাজীতে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন চায় এলাকাবাসী। দরপত্র অনুমোদনের চার বছরেও ভূমি অধিগ্রহণ, খাস জমি উদ্ধার ও প্রকল্পটির কাজ শেষ না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজমান।

 

এলাকাবাসীর দাবি প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে একদিকে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে অন্যদিকে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো উন্নয়নে বদলে যাবে পুরো এলাকা।

২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে এখনও দশ শতাংশ কাজও শেষ করা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী ও কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরদরবেশ গ্রামে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ''বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে বীজ বর্ধন খামার স্থাপন প্রকল্প'' নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।  

প্রকল্পটি স্থাপনের জন্য ৮০ একর খাস জমিসহ মোট ৫৭১ একর জমি নির্ধারণ করা হয়। ২০২১-২০২২ সালের অর্থবছরে প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ইজিপির মাধ্যমে দরপত্র আহ্বান করা হয়।  

প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৪৭৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭৩ কোটি টাকা। বাকি ২০৫ কোটি টাকার অবকাঠামো উন্নয়ন ও ফসল উৎপাদনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। অবকাঠামো উন্নয়ন ও ফসল উৎপাদনের কাজ পান নজরুল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।  

এর মধ্যে বর্তমানে প্রায় ৯ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পাকা প্রধান সড়কটির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়াও প্রকল্পের জন্য ১১ হাজার ভোল্টেজের থ্রি পেইজ লাইনের জন্য আবেদন করা আছে।  

পুরোদমে কাজ শুরু হলে ওই প্রকল্পতে দৈনিক চুক্তি ভিত্তিকহারে ৩০০/৩৫০ লেবারের প্রয়োজন হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এতে ১৫০ জন ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।  

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল মান্নান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ ও খাস জমিগুলো উদ্ধার না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ ধীর গতিতে হচ্ছে।  
এখনও অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ পুরোদমে শুরু হয়নি। অথচ প্রকল্পের মেয়াদকাল শেষ হওয়ার পথে রয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন ও নির্দেশনা দিয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই ভূমি অধিগ্রহণে ৪ ধারা নোটিশ করতে পারবো।

কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ সারোয়ার জাহান বলেন, প্রকল্পের মধ্যে ৮০ একর জমি হলো ১ নম্বর খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। কিছু অসাধু চক্র জমিগুলো ভাগবাটোয়ারা করে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে রেখেছে। প্রকল্পের কাজ শুরু করার পর থেকে তারা বিভিন্নভাবে বাধা দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আমরাও চাই প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
এসএইচডি/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।