ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বনশ্রী এলাকায় মায়ের হাতে চার বছরের শিশুকন্যা আয়না নূর ইসলামকে হত্যার অভিযোগে মা তাসনিম চৌধুরী ছোয়াকে (২৩) আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে রমনা সিদ্ধেশ্বরী হাসনা ভিলার ৩৮/৯ নম্বর বাসা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে খিলগাঁও থানা পুলিশ।
খিলগাও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. গোলজার হোসেন জানান, সন্ধ্যার দিকে খবর পেয়ে সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির চোখে মুখে নীলা ফোলা জখম ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, চুল ধরে ওয়াল বা গ্রিলের সঙ্গে আছড়িয়ে তাকে মেরে ফেলেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, বাবা এস এম আতিকুল ইসলাম ও মা ছোয়ার সঙ্গে দক্ষিণ বনশ্রীর ১২ নম্বর রোডের এল ব্লকের বাসায় থাকতো শিশু আয়না। তার বাবা ফার্ম থেকে দুধ সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দেন। বেশ কিছুদিন ধরে শিশুর মা ছোয়া নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এ কারণে কয়েক মাস ধরে শিশুটির বাবা আতিকুল সিদ্ধেশ্বরীর আলাদা বাসায় থাকেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে ছোয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তার স্বামী আতিকুলকে ফোন কল করে বলেন তিনি সিদ্ধেশ্বরীর বাসায় আসবে। আতিকুল তাকে নিষেধ করে, এতো রাতে না আসতে। এরপর আতিকুল ফোন কলে তার স্ত্রীকে পায় না। শুক্রবার সকালে শিশুটির নানাসহ আত্মীয়-স্বজন বনশ্রীর বাসায় গিয়ে দেখেন শিশু আয়না অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। পাশে তার মাও পড়ে আছে। পরে দ্রুত আয়নাকে একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে আয়নার মরদেহ সিদ্ধেশ্বরী বাবার কাছে নেওয়া হয় এবং থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে বনশ্রীর বাসা থেকে ছোয়াকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, শিশুর বাবার অভিযোগ তার স্ত্রী সব সময় নেশাগ্রস্ত থাকতেন। এজন্য তিনি আলাদা থাকতেন। শিশু আয়না হত্যায় তার স্ত্রীর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৫
এজেডএস/আরআইএস