ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সংস্কার এজেন্ডায় উপেক্ষিত ব্যক্তিমালিকানাধীন খাত: টিআইবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
সংস্কার এজেন্ডায় উপেক্ষিত ব্যক্তিমালিকানাধীন খাত: টিআইবি

ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতের সক্রিয় অংশগ্রহণ নেই। আবার সরকারের চলমান সংস্কার কার্যক্রমেও এ খাত প্রাধান্য পায়নি, যা উদ্বেগের বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রোববার (২০ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এমন উদ্বেগ প্রকাশ করে।

বিভিন্ন খাতে সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য, গণমাধ্যম, শ্রমিক ও নারী অধিকার-বিষয়ক চারটি সংস্কার কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশে কর্তৃত্ববাদ বিকাশের অন্যতম স্তম্ভ ছিল ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতের একাংশের হাতে নীতিকাঠামো দখলসহ রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক যোগসাজশে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থপাচারসহ ব্যবসায়ী ক্ষমতার জবাবদিহিবিহীন অপব্যবহার।  

তিনি আরও বলেন, এর বিচার নিশ্চিত করা যেমন অপরিহার্য, তেমনি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের অংশগ্রহণ উপেক্ষা করে কার্যকর ফল পাওয়ার আশা করা সত্যিই অসম্ভব। পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবস্থায় এ খাতের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা জরুরি।

ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. জামান বলেন, পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকার ও ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতের একাংশ পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে যে লুটেরাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিল, তা একদিকে যেমন পুরো অর্থনীতির সম্ভাবনাকে গলা টিপে ধরেছিল, তেমনি ব্যক্তিখাতের স্বাভাবিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছিল।  

ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং একটি টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, ব্যক্তিমালিকানাধীন ব্যবসা খাতে শুদ্ধাচার চর্চার কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের পথরেখা নির্ধারণ অপরিহার্য। প্রয়োজনে বিশেষ কমিশন গঠন করার করার আহ্বান জানান টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রে যেন আর কর্তৃত্ববাদের জন্ম বা পুনরুত্থান না ঘটে, সে লক্ষ্যে আর্থিক, সামাজিক, রাজনৈতিক কাঠামো সংস্কারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। একইসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে উপদেষ্টা পরিষদের কলেবর বাড়ানোর চিন্তা সাধুবাদ পাবে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে দেখছি, রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রমে দেশের কর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় অংশীদার ব্যক্তিমালিকানাধীন খাত পুরোপুরি উপেক্ষিত।

ব্যক্তিমালিকানাধীন খাতে সংস্কার এবং চলমান সংস্কার কার্যক্রমে এ খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা অনস্বীকার্য। নয়তো বাজার ব্যবস্থার নৈরাজ্য থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সুদূর পরাহত হবে বলেও মনে করেন ইফতেখারুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এসএমএকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।