ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঢালাইয়ের দুইদিনের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং!

মো. নিজাম উদ্দিন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০২৪
ঢালাইয়ের দুইদিনের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং!

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালীতে তিন কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিংয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সড়ক ঢালাইয়ের দুইদিনের মধ্যেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।

এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

তবে কার্পেটিং উঠে যাওয়ার জন্য বৃষ্টিকে দায়ী করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

স্থানীয়রা জানায়, সড়কটিতে কার্পেটিংয়ের কাজ আগে প্রাইম কোট দেওয়া হচ্ছে না। মাটির ওপরই দেওয়া হচ্ছে কার্পেটিং। সে কারণেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজার থেকে পুকুরদিয়া বাজার পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কের বেহাল অবস্থা ছিল। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয় রাস্তাটি সংস্কারে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হাত ঘুরে কাজ পায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের ছেলে জুয়েল হোসেন। গত রমজানের ঈদের আগে কাজ শুরু করেন তিনি। এর মধ্যে অনেকদিন কাজ বন্ধ রেখে আবার গত এক মাস থেকে কার্পেটিংয়ের কাজ করেন জুয়েল। তবে শুরু থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে কয়েকবার কাজ বন্ধ করে দেন স্থানীয়রা। কিন্তু পরে সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে আবারও কাজ শুরু হয়।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, কাজটির শুরু থেকেই নানান অনিয়ম করে আসছে ঠিকাদার। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের কারণে অনেকেই প্রতিবাদ করতে পারছেন না। কোটি টাকা বরাদ্দ লোপাট হচ্ছে। পুরাতন রাস্তাকে উল্টিয়ে সেখানেই কার্পেটিং করা হচ্ছে। তার মধ্যে কার্পেটিং এক ইঞ্চি হওয়ার কথা থাকলেও সেখানে অনেক জায়গায় আধা ইঞ্চিও হচ্ছে না। এছাড়া প্রাইমকোট না করে মাটির ওপর করা হচ্ছে কার্পেটিং।

অন্যদিকে পাথর ৫ মিলি, ১০ মিলি ও ১৬ মিলি থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ পাথর ১৬ মিলির ওপরে।

এসব বিষয়ে ঠিকাদার জুয়েল হোসেন বলেন, প্রাইম কোট একবার দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টিতে তা ধুয়ে গেছে। এখন কার্পেটিংয়ের আগে প্রাইম কোট দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিভিন্ন জায়গায় কার্পেটিং ওঠার বিষয়ে তিনি বৃষ্টিপাতকে দায়ী করছেন। এছাড়া তিনি কোনো অনিয়ম করছেন না বলে দাবি করেন।

তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব হচ্ছে রাস্তার কাজ করা। আমার পর্যাপ্ত মালামাল রয়েছে। কাজ বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব এলজিইডি অফিসের।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সদর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সাইট সুপারভাইজার বেলাল হোসেনের কাছে রাস্তাটির অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।  

বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।