ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষার্থী মাসরুরের বাবা-ভাইকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
শিক্ষার্থী মাসরুরের বাবা-ভাইকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

ঢাকা: কোটা আন্দোলনে গিয়ে নিখোঁজ ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাসরুর হাসানের সন্ধানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এসেছিলেন পরিবারের কয়েকজন সদস্য।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে ডিআরইউর সামনে যাওয়ার পর তার ভাই মেহেদী হাসান ও মাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাদা পোশাকের পুলিশের বিরুদ্ধে।

তবে মাসরুরের বাবা আবুল হাসেমকে তুলে নেওয়া হলেও কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ডিআরইউতে মাসরুরের সন্ধানে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় ডিআরইউ চত্বর থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে যায়। এ সময় অজ্ঞাতপরিচয় নারীর কোলে একটি ৪/৫ বছরের শিশুও ছিল। তাদের তুলে নেওয়ার সময় সাদা পোশাকধারীদের সঙ্গে কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়।  

পরে একটি লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, মাসরুর হাসান এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষে ভর্তি হন।

২৫ জুলাই ডেমরা বড়ভাঙ্গায় ফজর নামাজের পর নিকটাত্মীয়ের বাসায় বেড়ানো অবস্থায় বাসার নিচ থেকে অজ্ঞাত কিছু ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে কালো কাপড়ে চোখ বেঁধে মাসরুরকে নিয়ে যায়। মাসরুরকে কেন আশ্রয় দিয়েছে, এ কথা বলে পুলিশ তার মামা, মামার দুই শিশু-কিশোর সন্তান ও তার ভাতিজাকে ব্যাপক মারধর ও জিজ্ঞাসাবাদ করে ডেমরা থানায় আটক করে নিয়ে যায়।

ওই সময় পুলিশের পক্ষ থেকে উলটো জানানো হয়, মাসরুরকে তারা পায়নি, যদি তাকে হাজির না করা হয়, তাহলে আটকদের লাশ বাসায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরবর্তী সময়ে মাসরুরের মামা, তার সন্তান এবং ভাতিজাকে সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়। কিন্তু ভিকটিম মাসরুরের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে আদালতেও হাজির করা হয়নি। এমতাবস্থায় আমরা তার জীবন নিয়ে অত্যন্ত শঙ্কিত, আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে মাসরুরের সন্ধান দাবি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২৪
টিএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।