ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাতৃভাষায় শিক্ষা নিলে জানা-বোঝা সহজ হয়: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
মাতৃভাষায় শিক্ষা নিলে জানা-বোঝা সহজ হয়: প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: মাতৃভাষায় জ্ঞান অর্জনের সুবিধার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাতৃভাষায় শিক্ষা নিতে পারলে সেই শিক্ষা নেওয়া, জানা ও বোঝা অনেক সহজ হয়।

বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষার জন্য মাতৃভাষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মাতৃভাষায় শিক্ষা নিতে পারলে সেই শিক্ষা নেওয়া, জানা ও বোঝা অনেক সহজ হয়। তবে বিশ্ব যেহেতু অনেক কাছাকাছি চলে এসেছে, সেখানে কর্মক্ষেত্রে আমাদের অন্য ভাষা শেখারও প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, জীবন-জীবিকার জন্য হয়তো অনেক ভাষা শিখতে হয়। কিন্তু মাতৃভাষা সংরক্ষণ করা প্রত্যেক জাতির কর্তব্য বলে আমি মনে করি।

মাতৃভাষা সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বের বিভিন্ন মাতৃভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো যাতে হারিয়ে না যায় সেগুলো সংরক্ষণ করা, গবেষণা করা ... সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গড়ে তুলি।  

বাংলা ভাষাকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মাতৃভাষাকে রক্ষা করে, মাতৃভাষার চর্চা এবং মাতৃভাষাকে আরও শক্তিশালী করে, আমাদের শিল্পকলা, সাহিত্য অনুবাদ করে সারা বিশ্বের ছড়িয়ে দিতে হবে। বাঙালি জাতি যে তার ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে, তা সবার সামনে তুলে ধরা আমাদের কর্তব্য।  

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমিকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমি এ দুটো প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করতে হবে।  

সারা বিশ্বে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি শান্তিতে বিশ্বাস করে। আমরা আর যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই। সারা বিশ্বে যুদ্ধ বন্ধ হোক, অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ হোক। এ অস্ত্র প্রতিযোগিতায় যে অর্থ (খরচ করা হচ্ছে), তা মানুষের জ্ঞান-বিজ্ঞান, গবেষণা, জলবায়ু পরিবর্তন, শিশু, নারী, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে ব্যবহার করা হোক।  

তিনি বলেন, শান্তি থাকলেই কিন্তু প্রগতি আসে, উন্নতি হয়, এগিয়ে চলা যায়। সেটিই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য, এভাবেই আমরা এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব, এটিই আমাদের প্রতিজ্ঞা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
এমইউএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।