ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

২০ শর্তে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমতি পেল আ.লীগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
২০ শর্তে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমতি পেল আ.লীগ

ঢাকা: ২০ শর্তে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইট সংলগ্ন এলাকায়  ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) স্পেশাল অ্যাসিসট্যান্ট টু কমিশনার মোহাম্মদ নাজমুর রায়হান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

তাতে বলা হয়, গত ২০ অক্টোবর দাখিলকৃত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে ২৮ অক্টোবর শনিবার বেলা ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইট সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।

শর্তগুলো হলো- 
১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।

২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

৪. বেলা ১২টার আগে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।

৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।  

৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেন্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।

৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।

৯. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।

১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।

১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।

১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।

১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনসমূহ কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।

১৪. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।

১৫. রাষ্ট্র বিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।

১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য দেওয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।

১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি-সোটা বা রড সদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।

১৮. আইন-শৃংখলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।

১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।

২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেখে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
এসজেএ/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।