ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ছিনতাইকারীর হামলায় আহত সেই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৩
ছিনতাইকারীর হামলায় আহত সেই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশাদ আকরাম

রাজশাহী: শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশেই চলে গেলেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী নিশাদ আকরাম (২৪)। ছিনতাইকারীর হামলায় গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।

১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ভোরে তার মৃত্যু হয়।

নিশাদ অকরাম রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি পাশের জেলা নওগাঁর নিয়ামতপুরে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল ওই কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, ছিনতাইকারীর হামলায় রিকশা থেকে পড়ে নিশাদ আকরামের মাথার খুলি ফেটে গিয়েছিল। ঘটনার পর থেকে তার কোনো সজ্ঞা ছিল না। অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই তাকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ছিনতাই ও হামলার ঘটনায় আগেই একটি মামলাটি হয়েছিল। এখন সেই মামলাটিই হত্যা মামলায় রূপ নেবে। এরইমধ্যে হামলাকারী সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তিনি জানিয়েছেনি একা নয় তারা দুইজন মিলে ছিনতাইয়ের উদ্দেশে এই হামলা করেছিলেন। তাই এই হামলার সঙ্গে জড়িত অন্যজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া চলছে। দুপুরে মধ্যে ময়নাতদন্ত শেষে নিশাদের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর নিশাদ তার এক অসুস্থ বান্ধবীকে হাসপাতালে রেখে রিকশায় করে ফিরছিলেন। তারা যখন নগরের রাজারহাতা এলাকা পার হচ্ছিলেন, তখন ছিনতাইকারীরা এসে নিশাদকে আঘাত করলে তিনি রিকশা থেকে পড়ে যান।

রিকশাচালক ভয়ে রিকশা নিয়ে দূরে গিয়ে চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে আসেন। সবাই নিশাদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। পরে এই ছিনতাই ও হামলার ঘটনায় তার চাচাতো ভাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে ওই দিনই বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার পর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ মো. সেলিম (৫০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি নগরের পাঠানপাড়ায়। তিনি পেশাদার ছিনতাইকারী। হামলার পর ওই কলেজ শিক্ষার্থীর মোবাইলফোন, মানিব্যাগ ও হাতঘড়ি ছিনতাই হয়ে গিয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।