ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারী, মজুরি প্রশ্ন ও শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে মতবিনিময়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
নারী, মজুরি প্রশ্ন ও শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে মতবিনিময়

ঢাকা: ‘নারী, মজুরি প্রশ্ন ও শ্রমিক আন্দোলন’ শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পোশাকশ্রমিকের মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি।

বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেনের পরিচালনায় মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখেন আনু মুহাম্মদ, সারা হোসেন, মাহীন সুলতান, খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, আইনুন্নাহার লিপি, সাবিনা ইয়াসমিন, সীমা দত্ত, শবনম হাফিজ, শহীদুল ইসলাম সবুজ, আমিনা আক্তার, আফরিন আক্তার লিপি ও প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, রপ্তানি আয়ের শীর্ষ খাত পোশাকশিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ। এই খাতের ৬০ ভাগই নারী। অথচ গত ১০ বছরে এই খাতে শ্রমিকের সংখ্যা যেমন কমেছে তেমনি কমেছে নারী শ্রমিকের সংখ্যা। এক সময় এ খাতে ৮০ ভাগ নারী থাকলেও বর্তমানে তা ৬০ ভাগে পরিণত হয়েছে। রপ্তানি আয়ের শীর্ষখাত কিংবা দ্বিতীয় রপ্তানিকারক দেশের শ্রমিক হয়েও পোশাকশ্রমিকরা বর্তমানে যে ৮০০০ টাকা মজুরিতে কাজ করছে তা নারী-পুরুষ শ্রমিকের জীবন ধারণের জন্য অত্যন্ত অপ্রতুল।

বক্তারা আরও বলেন, পোশাকখাতে নারীর ব্যাপক অংশগ্রহণ নতুন শ্রমশক্তি হিসেবে নারীর পরিচয় তৈরি করেলেও, নারীর আর্থিক স্বাচ্ছলতা বা স্বাবলম্বন তৈরি করতে পারেনি। অথচ, দক্ষ শ্রমিক, স্বাধীন ও নাগরিক সত্তা হিসেবে সমাজে ভূমিকা রাখতে হলে শ্রমিক নারীর আর্থিক স্বাচ্ছন্দ ও স্বাবলম্বন প্রাথমিক শর্ত। সেই শর্ত পূরণ না হওয়ায় ঘর-গেরস্থালির কাজের চাপ এবং কারখানার চাপসহ নানান চাপে নারী শ্রমিকরা দক্ষতার দিকেও পিছিয়ে পড়ছে। নারী শ্রমিকদের ঝরে পড়ার সংখ্যাও বাড়ছে।

তাই বক্তারা বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বলেন, বর্তমান বাজারে দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতিতে নারী-পুরুষ উভয় শ্রমিক বেদিশা অবস্থায় আছেন। তাই নারী শ্রমিকের ঝরে পড়া রোধ, দক্ষ নারী শ্রমিক তৈরি এবং বর্তমান বাজারে বেঁচে থাকার মতো অবস্থা তৈরিতে ২৫ হাজার টাকা মজুরির আন্দোলন অত্যন্ত জরুরি। নারী ও পুরুষ শ্রমিক যত বেশি আয় করবে, ততই তার ব্যক্তি জীবনে সাচ্ছন্দ্য তৈরি হবে এবং একইসাথে শিল্পে উৎপাদনের গুণগত পরিবর্তন ঘটবে।

মজুরির লড়াই কেবল শ্রমিকের নয়, নারীর এবং নারী আন্দোলনেরও হবার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ৪০ লাখ শ্রমিকের ৬০ ভাগসহ নারী-পুরুষ উভয়ই যখন গত ৫ বছরে দ্রব্যমূল্যের কষাঘাত, করোনার ছোবল এবং রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভুক্তভোগী হচ্ছে, তখন নারী আন্দোলনে তাদের দাবি দাওয়া উঠে আসছে না।

তারা বলেন, নারী আন্দোলনকে অগ্রসর হতে হলে শ্রমজীবি নারীসহ নারী পোশাক শ্রমিকসহ সকল শ্রমিকের মজুরির দাবি সামনে আনতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২৩
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।