ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৪ ঘণ্টা পর গুলশানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, চলছে যানবাহন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
৪ ঘণ্টা পর গুলশানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, চলছে যানবাহন  গুলশান -১ চত্বর। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: রাজধানীতে ‘গুলশান শপিং সেন্টার’ নামক একটি মার্কেট সিলগালা করার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীদের গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বর অবরোধের চার ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে পুলিশ রাস্তা অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং যান চলাচল শুরু হয়।

এরআগে দুপুর ১২টার দিকে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হওয়ায় ওই মার্কেটটি সিলগালা করে দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ।  

এরপরেই ব্যবসায়ীরা গুলশান -১ চত্বর সিগন্যাল অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এতে গুলশান-বনানীসহ আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

দুপুরের পর থেকে পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের বারবার অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা সেটি শোনেননি। তারা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চান।

পরে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ অবরোধকারীদের জোর করে সরিয়ে দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ জোর করে অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল চালু করলে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা তাদের ও যানবাহন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।  

পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত অবরোধকারীরা।  ছবি: শাকিল আহমেদ

এ সময় বেশ কয়েকটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায় এবং পথচারীদেরও দিগ্‌বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ

বর্তমানে গুলশান-১ গোল চত্বর দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশ সদস্য সেখানে অবস্থান করছেন।

এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের সিটি করপোরেশনের একটি মার্কেট সিলগালা করার কারণে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান নিয়ে সড়ক দখল করে রেখেছিল। আমরা তাদেরকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের দাবি জানানো ও বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেছি। এ জন্য আমরা তাদের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই সময়ের মধ্যে কথা বলেও বিষয়টি সমাধান করতে পারেনি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছিল। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, তাই আমরা তাদের বেশিক্ষণ রাস্তা বন্ধ রাখতে না দিয়ে কিছুটা প্রেশার দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।

আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি৷ পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
এসসি/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।