ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীর ওপর হামলা, পরিবারসহ বিএনপি নেতার নামে মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীর ওপর হামলা, পরিবারসহ বিএনপি নেতার নামে মামলা

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, টাকা ও মালামাল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতিসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সোমবার রাতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নিরাপদ দাস বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর, তার ছেলে শাফি জাহাঙ্গীর, সেলিম জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই খন্দকার সাইফুল ইসলাম, তার ছেলে সাব্বির খন্দকার ও শিশির খন্দকার।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, জিকেএস হাসপাতালে গত তিন মাসে ৪৪ হাজার ২৫৭ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া আছে। জুন ক্লোজিংয়ে বকেয়া বিল তুলতে সোমবার (১২ জুন) পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাড়াশ জোনাল অফিসের এজিএম রাব্বুল হাসানের নেতৃত্বে একটি টিম ওই হাসপাতালে যান। এ সময় হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর ২ ঘণ্টা সময় নেন। দুই ঘণ্টা পর বিল চাইতে গেলে খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর অস্বীকৃতি জানান। পরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হলে তিনি ও তার ছেলে শাফি জাহাঙ্গীর ক্ষিপ্ত হয়ে বিলের রশিদসহ অন্যান্য কাগজ কেড়ে নেন। এ সময় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিলে টেকনিশিয়ান নাজেদ আলী, লাইন শ্রমিক মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ফোল্ডিং হটিষ্টিক ছিনিয়ে নেওয়া হয় এবং তাদের গালিগালাজ করা হয়।

পরবর্তীতে সেলিম জাহাঙ্গীর, তার ভাই খন্দকার সাইফুল ইসলাম ও তার দুই ছেলেসহ পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারিদের ওপর দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালান। এতে এজিএম রাব্বুল হাসান, মিটার রিডার মোস্তফা কামাল, টেকনিশিয়ান নাজেদ আলী গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এ সময় ৮৩ জন গ্রাহকের জমাকৃত বকেয়া বিলের ২ লাখ টাকা, ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিক লাইনের কাজে ব্যবহ্নত মালামালা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

তাড়াশ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও জিকেএস হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, আমার বিল পরিশোধ আছে। তারপরও আমার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করা হয়। আমি বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। শুনলাম আমার ও আমার পরিবারের নামে মামলাও দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।