ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চাঁদপুর জেলা কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
চাঁদপুর জেলা কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলা কারাগারে থাকা চেক-ডিজঅনার (এনআই অ্যাক্ট) সাজাপ্রাপ্ত ৫ মামলার আসামি মো. আলম খান (৫০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।

সোমবার (৫ জুন) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

 

আলম খান চাঁদপুর শহরের খলিশাডুলি ওয়াবদা গেইট খান বাড়ীর হাজী শামসুল হক খাঁনের ছেলে। তিনি পৌর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি ছিলেন।

চাঁদপুর জেলা কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইউসুফ জানান, সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে আলম খান অসুস্থ্যতাবোধ করলে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসি এবং তার পরিবারের সদস্যদেরকে অবহিত করি। পরিবারের সদস্যরাও তাৎক্ষণিক হাসপাতালে আসেন।

আলম খানের পিতা শামসুল হক খান জানান, চাঁদপুর আইএফআইসি ব্যাংকে তার ছেলে সাড়ে ৩ কোটি টাকার ঋণ ছিল। কিন্তু ঋনের চাইতে অধিক টাকার মর্গেজও ছিল ব্যাংকে। তারপরেও মামলার কারণে তার সাজা হয়। তার মৃত্যুতে তিনি কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেননি।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুশান্ত বিশ্বাস জানান, আলম খান নামে ব্যক্তির ইসিজি করে দেখা গেছে বড় ধরণের হার্ট অ্যাটাকে হয়েছে তার। তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

চাঁদপুর কারগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) মুহাম্মদ মুনীর হোসাইন বাংলানিউজকে বলেন, গত ২১ এপ্রিল এনআই অ্যাক্টের ৫ মামলার আসামি সাজার পরোয়ানা নিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে দিকে বুকে ব্যাথা শুরু হলে কারগারের সহকারী সার্জনের পরামর্শক্রমে সকাল সোয়া ৮টার দিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসক মৃত্যুর কারণ হিসেবে ÔMI Cardiogenic Shock’ উল্লেখ করেন। এই ঘটনায় পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।