ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘মোখা’ মোকাবিলায় মাঠে আড়াই লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৩৪ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
‘মোখা’ মোকাবিলায় মাঠে আড়াই লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (ভিডিপি) ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং, আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

শনিবার (১৩ মে) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সদর দপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখায় সাধারণ জনগণ, পোষা প্রাণী, ঘরবাড়ি, ফসল, মাছের ঘের, প্রাণী সম্পদ ও বেড়িবাঁধ রক্ষার্থে এবং জনসাধারণের পাশে দাঁড়াতে সংশ্লিষ্ট জেলা কমান্ড্যান্ট ও ব্যাটালিয়ন অধিনায়কদের প্রতি বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদর দপ্তর থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

সে অনুয়ায়ী স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এবং নিজ উদ্যোগে উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষকে সাহস জোগানো ও আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

ইতোমধ্যে হাতিয়া উপজেলার ২৫৫টি এবং সূবর্ণচর উপজেলার ১৫১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আনসার ভিডিপি সদস্যদের সহায়তায় প্রায় তিন লাখ দুর্গত মানুষকে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের দেখাশোনা ও অন্যান্য সহযোগিতার জন্য ভিডিপি ইউনিয়ন লিডার ও আনসার কমান্ডাররা তৎপর।

এছাড়া, সেন্টমার্টিন, সন্দ্বীপ ও ভোলাসহ অন্যান্য জেলা ও উপজেলাগুলোতেও জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করছেন তারা।

প্রতিটি আশ্রয়কেন্দ্রে একজন কমান্ডারের অধীনে ১০ জন করে ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকল সদস্যের ছুটি স্থগিত করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ইউনিয়ন/ওয়ার্ড দলনেতা ও দলনেত্রী, উপজেলা ও ইউনিয়ন আনসার কমান্ডাররা এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকায় আনসার ও ভিডিপির প্রতিটি ইউনিটে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া সদর দপ্তরের অপারেশনস কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার মাধ্যমে সমন্বয় করছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সরকারি সংস্থা বা এজেন্সির কার্যক্রমে সহায়তার জন্য আনসার-ভিডিপির সদস্যরা কাজ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২০ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০২৩
পিএম/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।